নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ অক্টোবর৷৷ ত্রিপুরা সহ বরাক উপত্যকার মানুষের কাছে দীপাবলির উপহার আগরতলা দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ১৯ অক্টোবর আগরতলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাজধানী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হবে৷ কিন্তু রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রেনের অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিয়া হাসাওয়ের হিউহাফলং বা মাইবাং স্টেশনে কোনও স্টেপজ নেই৷ এ নিয়ে পাহাড়বাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷
এদিকে ১৯ অক্টোবর আগরতলা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেসের৷ দীপাবলির দিন দিল্লি থেকে রিমোর্টের বোতাম টিপে রাজধানী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীে নরেন্দ্র মোদীর৷ ২২৪৪০/২২৪১ নিউদিলিল- আগরতলা-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস নতুনদিল্লি থেকে প্রতি শনি, বৃহস্পতিবা এবং শুক্রবার চলাচল করবে এবং আগরতলা থেকে সোম, শনি এবং রবিবার চলাচল করবে৷ ২২৪৪১ ডাউনে রাজধানী এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিনদিন আগরতলা থেকে ছারবে রাত ৭টা ২৫ মিনিটে এবং নতুন দিল্লি পৌঁছবে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে৷ একইভাবে ২২৪৪০ আপ রাজধানীে এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিন দিন দুপুর ২টায় নতুনদিল্লি থেকে ছেড়ে আগরতলা পৌঁছবে সকাল ৫টায় আগরতলা৷ দিল্লি থেকে ছাড়ার পর মোট ১৬টি স্টেশনে দাঁলিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে রাজধানী এক্সপ্রেস৷ ট্রেনটিতে থাকবে এসি প্রথম শ্রেণীর একটি, এসি ২ টায়ার চারটি, এসি৩ টায়ার ১০টি, পেন্ট্রিকার, ২টি পাওয়ার কার কাম গার্ড ভ্যান ২টি সহ মোট ১৯ টি কোচ৷
লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্পের ৯৮ কিলোমিটার ছেড়ে দিলে ১৮০ কিলোমিটার রেলপথই গিয়েছে ডিমা হাসাও জেলার মধ্য দিয়ে৷ কিন্তু তার পরও পাহাড়ের বাসিন্দাদের রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে বঞ্চিত করল উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল৷ শনিবার ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর প্রধান সংগঠনদের নিয়ে গঠিত যৌথ সমন্বয় সমিতির সভাপতি কল্যান দাওলাগপু বলেন, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন সামনেই৷ তাই ত্রিপুরার মানুষকে খুশি করতেই নরেন্দ্র মোদী দীপাবলির উপহার হিসেবে রাজধানী এক্সপ্রেস তুলে দিলেন গড়শি রাজ্যকে৷ ডিমা হাসাওয়ে কোনও নিবার্চন নেই৷ তাই বিজেপি সরকার রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে বঞ্চিত করেছে পাহাড়বাসীকে৷ কল্যাণবাবু বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় এখন জঙ্গি সমস্যা নেই৷ তাই সরকার এখন ভয় করে না৷ যার ফলে পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে এভাবে বিমাতৃসূলভ আচরণ করছে৷ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজধানী এক্সপ্রেসের নিউহাফলং স্টপেজ রেল কর্তৃপক্ষ যদি বিবেচনা না করে তা হলে পাহাড়ের মানুষ সম্মিলিতভাবে গমতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করবে৷ এমন কি রেল অবোরধের মতো কার্যসূচিও নেওয়া হবে, জানিয়েছেন, কল্যাণ দাওলাগুপ্ত৷ বলেন, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের নিউহাফলং স্টেশনে স্টপেজ না থাকায় ব্যাপার কোনওভাবে মেনে নেবে এই জেলা৷ কল্যাণ বলেন, বর্তমানে শিলচর,-গুয়াহাটিরে মধ্যে সপ্তাহে তিনদিন চলাচলকারী স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়ে ওই ট্রেনটিকে শিলচর লামডিং পর্যন্ত হিলক্যুইন হিসেবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এর তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেন, কোনও চালু ট্রেনকে বন্ধ করে অন্য নাম দিয়ে চালানো উচিত নয়৷ নিলক্যুইন নাম দিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হোক৷
পাহাড়ের মানুষের দাবি ছিল, হাফলং থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত চলুক হিলক্যুইন৷ তবে শিলচর থেকে লামডিং পর্যন্ত হিলক্যুইন ট্রেন চললেও আমাদের আপত্তি নেই, তবে পাহাড়ের রেল যাত্রীদের জন্য দুটি কামরা সংরক্ষিত রাখতে হবে৷ মিটার গেজ থাকার সময় হিলক্যুইন ট্রেন হাফলং ও লামডিং থেকে চলাচল করত৷ আগের সেই নির্ধারিত সময়েই হাফলং থেকে চলতে হবে৷ হিলক্যুইন ট্রেন, সাফ জানান কল্যাণ দাওলাগপু৷
2017-10-15