নয়াদিল্লী, ১৩ অক্টোবর৷৷ শীঘ্রই কংগ্রেস সভাপতি পদে অভিষেক হচ্ছেন রাহুল গান্ধী৷ সম্ভবত দীপাবলির পরই রাহুলকে দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ এমনই ইঙ্গিত দিলেন দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ শুক্রবার নয়াদিল্লীতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর আত্মজীবনীর উপর প্রকাশিত হয়েছে৷ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধীও৷ অনুষ্ঠানের ফাঁকে সোনিয়া গান্ধী সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল খুব শীঘ্রই দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন৷ তবে এ বিষয়ে রাহুল গান্ধী কোনও মন্তব্য করেননি৷
যদিও বৃহস্পতিবার এনিয়ে একটি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলট৷ তিনি বলেন, দীপাবলির পরই দলের দায়িত্ব নিতে পারেন রাহুল৷ এই ব্যাপারে দলে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাসও হয়েছে বলে শ্রীপাইলট মন্তব্য করেন৷ এদিকে, শুক্রবার সোনিয়া গান্ধী জানান, অনেক দিন ধরেই রাহুলের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা চলছিল৷ তাই খুব তাড়াতাড়িই রাহুলকে সভাপতি পদে বসানো হচ্ছে৷ কংগ্রেস সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ বিভিন্ন রাজ্যে সেই প্রক্রিয়া চলছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পর সর্বভারতীয় স্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে৷ সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই কংগ্রেসের শীর্ষপদ থেকে সরে যাবেন সোনিয়া গান্ধী আর সহ সভাপতি থেকে সভাপতি হবেন রাহুল গান্ধী৷ কংগ্রেস সূত্রে খবর রাহুল গান্ধী সর্বসম্মত ভাবেই কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন৷ সভাপতি পদের নির্বাচনে রাহুলের বিরুদ্ধে কেউই প্রার্থী হবেন না৷
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি পদে বাসানোর জন্য আলোচনা চলছিল৷ শুধু তাই নয়, সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ৷ তাকে কিছুদিন অন্তর অন্তর বিদেশে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য৷ এই পরিস্থিতিতে দলের সভাপতি পদে একজনকে দায়িত্ব দেওয়ার গুরুত্ব বেড়ে যায়৷ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সক্রিয় অংশগ্রহণে দলের নেতাদের মধ্য থেকে একাংশ আওয়াজ তুলেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা লাও দেশ বাঁচাও৷ ঐ সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমাজবাদি পার্টির সাথে কংগ্রেসের জোট গঠনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন৷ এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি পদে বসানোর বিষয়টি অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ৷ তাছাড়া আগামী লোকসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধী হয়তো ততটা সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবেন না, তাই এখন থেকেই দলের হাল রাহুলের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছেন৷
বিভিন্ন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দলের সর্বভারতীয় সাংগঠনিক নেতৃত্ব নির্বাচন হবে৷ এর আগেই রাজ্যগুলির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে৷ প্রায় প্রতিটি রাজ্যের সভাপতিরাই রাহুল গান্ধীকেই মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন৷ এখন দেখার বিষয় হচ্ছে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি পদে আসীন হওয়ার পর দলের অবস্থান কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়৷
2017-10-14