নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ অক্টোবর৷৷ কড়া নজরদারী চালানো হবে এনজিও গুলির উপরও৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার অব সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লক্ষ্য করা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যে কর্মরত বহু বে-সরকারী সমাজসেবী সংস্থা সোসাইটির রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ এর ৪ ক এবং ৪ খ ধারায় বর্ণিত নিয়মগুলি অনুসরণ করছে না৷ ফলে, এসময় বহু নথীভুক্ত সমাজসেবী সংস্থার দলিলপত্র খতিয়ে দেখা সম্ভব হচ্ছে না৷
এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকারের সোসাইটি রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, উক্ত আইনের ৪ ক এবং ৪ খ ধারা মোতাবেক সমস্ত নথীভুক্ত (রেজিষ্টার্ড) সমাজসেবী সংস্থাগুলি যেন এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে তাদের পরিচালনা কমিটির বাৎসরিক তালিকা সহ অডিট করা হিসাবপত্র আগরতলার প্যালেস কম্পাউন্ডের রেজিস্ট্রার অব সোসাইটি এর কার্যালয়ে জমা দেয়৷ সমাজসেবী সংস্থাগুলির কার্যকলাপ ও দলিলপত্রের উপর অনলাইনের মাধ্যমে নজর রাখার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ আবার উক্ত আইনের ৪ খ এর ২ নং উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন সমাজসেবী সংস্থার সভাপতি অথবা সচিব বা অন্য কোন প্রতিনিধি এই আইনের ৫ নং ধারার ২ নং উপধারায় বর্ণিত নিয়মগুলি মেনে চলতে অসমর্থ হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে৷
এবিষয়ে শ্রম দপ্তরের সচিব কে ডি চৌধুরী জানান, নীতি আয়োগের মতে বিদেশ থেকে প্রচুর বেনামী টাকা এনজিও গুলির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে৷ এর হিসেব রাখা জরুরী৷ মূলত, স্বচ্ছতা আনতেই এনজিও(সমাজসেবী সংস্থা) গুলির এখন থেকে বার্ষিক হিসেব জমা দিতে হবে৷ সাথে লেনদেনের অডিটও করাতে হবে৷ শ্রীচৌধুরী জানান, রাজ্যে প্রায় ৭ হাজার নথিভুক্ত এনজিও রয়েছে৷ এগুলির মধ্যে কিছু এনজিও’র হিসেবে গড়মিল ধরা পড়তে পারে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷
2017-10-12