নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ অক্টোবর৷৷ জিএফআর (জেনারেল ফিনান্সিয়াল রুলস্ ২০১৭) নিয়ে মহা ফাঁপরে রাজ্য সরকার৷ কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের জিএফআরকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার জিএফআর গ্রহণ করেছে এবং তা কার্যকরে ডিএফপিআরটি(ডেলিগেশান ফিনান্সিয়াল পাওয়ার রুলস্ অফ ত্রিপুরা ২০১১) সংশোধন করেছে৷ তাতে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর অর্থ খরচের ক্ষেত্রে মহা সমস্যায় পড়েছে৷ সমস্যার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা জানিয়েছেন, ডিএফপিআরটি নিয়ে তেমন অসুবিধা হচ্ছেনা৷ তবে, কয়েকটি দপ্তর ডিএফপিআরটি নিয়ে স্পষ্টিকরণ চেয়েছে৷ তাঁদের বক্তব্য, পুরনো পদ্ধতিতে কাজ করা সুবিধাজনক ছিল৷ তাই, ডিএফপিআরটি আবারও সংশোধন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷
কেন্দ্রীয় সরকার ১২ বছর বাদে এবছর গত এপ্রিল মাসে জিএফআর সংশোধন করেছে৷ স্বাভাবিক ভাবে রাজ্যকেও এই জিএফআর গ্রহণ করতে হয়েছে৷ জিএফআর মেনেই তা কার্যকরে ডিএফপিআরটি সংশোধন করেছে রাজ্য সরকার৷ ২০১১ সালে শেষ বারের মত সংশোধন করা হয়েছিল ডিএফপিআরটি৷ কিন্তু এখন এই রুলস্ মেনে কাজ করতে গিয়েই ঘোর বিপত্তির মুখে পড়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরগুলি৷ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার এবছর যে জিএফআর তৈরি করেছে তা মেনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরগুলি খরচ করার ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখিন হচ্ছে৷ দায় কে নেবে, এই টানাপোড়নে বিভিন্ন দপ্তরে কাজই করা হচ্ছেনা৷ যতদুর যানা গেছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যে প্রতিটি দপ্তরে খরচ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রিদেরকেও দায়ভার নিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই নতুন কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ দপ্তর টাকা বরাদ্দ করছেনা৷ এই নতুন নিয়মের গ্যাড়াকলে বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি মন্ত্রিরাও ভিষণ চিন্তায় পড়েছেন৷
এদিন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমস্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাজ করতে গিয়ে এমন কিছু যেন না হয় যাতে কাজ সম্পাদনে বিলম্ব ঘটে৷ তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি দপ্তর পুরনো পদ্ধতিতেই কাজ করতে চাইছে৷ তাই মুখ্যসচিবকে সংশোধিত ডিএফপিআরটি পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে পুনরায় সংশোধনী আনার ক্ষেত্রেও খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্যসচিবকে বলা হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রীর সাফ কথা, স্বচ্ছতা বজায় রেখে যে পদ্ধতিতে দ্রুত কাজ সম্পাদন সম্ভব হয় সেটাই করা হোক৷ তাতে, ডিএফপিআরটি সংশোধনীর প্রয়োজন হলে তা আনা হোক৷
2017-10-11