নিজস্ব প্রতিনিধি, জলেফা, ৯ অক্টোবর৷৷ দুর্গাপুজা গেল, লক্ষ্মীপুজা গেল, আসছে দীপাবলি৷ রেগায় কাজ করিয়ে মজুরী দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ৷ ক্ষোভে ফঁুসছেন শ্রমিকরা৷ পঞ্চায়েতে গেলে বলা হয় ব্যাঙ্কে যেতে৷ আবার ব্যাঙ্কে গেলে বলা হয় পঞ্চায়েত থেকে নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে না৷ প্রশাসনিক তালবাহানায় রীতিমতো হয়রান হয়ে গিয়েছেন শ্রমিকরা৷ ঘটনা সাব্রুম মহকুমার পূর্ব জলেফা এবং পশ্চিম জলেফা গ্রামে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজার আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ রেগার কাজ করিয়েছিলেন৷ শ্রমিকরা আশা করেছিলেন পুজার আগে মজুরী পাবেন এবং শারদোৎসবের দিনগুলি ভালভাবে কাটাবেন৷ কিন্তু, তা আর হল না৷ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানায় যে দুর্গাপুজার পর মজুরী দেওয়া হবে৷ লক্ষ্মীপুজার আগে হাতে টাকা মিলবে বলে আশা ছিল৷ কিন্তু তাও হল না৷ লক্ষ্মীপুজার পর চারদিন অতিক্রান্ত হয়েছে, এখনও মজুরী পাচ্ছেন না শ্রমিকরা৷ তারা রোজদিন পঞ্চায়েতগুলিতে গিয়ে যোগাযোগ করেন৷ পঞ্চায়েত থেকে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কে গিয়ে যোগাযোগ করতে৷ অন্যদিকে ব্যাঙ্কে গেলে বলা হয় পঞ্চায়েত থেকে নথিপত্র পাঠানো হয়নি৷ সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত থেকে সমস্ত নথিপত্র পাঠানো হয়েছে৷ তারপর ব্যাঙ্ক বলছে টাকা আসেনি৷ দিনের পর দিন এভাবেই মজুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন শ্রমিকরা৷ পুজার সময় হাতের টাকা কড়ি সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে৷ সামনেই দীপাবলি৷ এর আগে যদি মজুরী না মিলে তাহলে শ্রমিকরা আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনায় ঘরের জন্য যেসব সুবিধাভোগী চিহ্ণিত হয়েছেন এই দুই পঞ্চায়েতের তারা পরবর্তী কিস্তির টাকা না পেয়ে কোন কাজ করতে পারছেন না৷
2017-10-10