নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ অক্টোবর৷৷ সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হলেন ২৬ জন

আইপিএফটি কর্মী৷ দুর্ঘটনায় চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে৷ আইপিএফটি কর্মীদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে৷
শনিবার মনু থানাধিন মনপাথর বাজারে মিছিল ও সভা সংগঠিত করেছে আইপিএফটি৷ জনৈকা উপজাতি কিশোরির রহস্য মৃত্যুর সিআইডি তদন্তের দাবিতেই এদিন আইপিএফটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা সংগঠিত করে৷ সভা শেষে মনপাথর থেকে শিবপুর যাওয়ার পথে শান্তির বাজার মহকুমাধিন নারাইফাং এলাকায় টিআর-০৩-সি-১৬৮৫ নম্বরের বুলেরু ম্যাক্স গাড়িটি বাঁক নিতে গিয়ে উল্টে যায়৷ তাতে, ২৬ জন আইপিএফটি কর্মী গুরুতর ভাবে আহত হন৷ গাড়ির চালকও মারাত্মক ভাবে আহত হন৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শান্তির বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শান্তির বাজার মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়৷ উদ্ধার কার্যে স্থানীয় বিএসএফ জওয়ানরাও সহায়তা করেছেন৷
এদিকে শান্তির বাজার মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহতদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উদয়পুর ত্রিপুরাসুন্দরী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ সেখান থেকে ৬ জনকে জিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ জানা গেছে, এই ৭ জন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শারিরীক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে৷
এদিনের এই দুর্ঘটনার জন্য চালকের বেপরোয়া গতি দায়ি বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়িটি যে অবস্থায় রাস্তায় সম্পুর্ণ উল্টে গেছে তাতে নিশ্চিত যে চালক প্রচন্ড গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷ তাই, বাঁক নিতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পরে৷ শান্তির বাজার থানার পুলিশ গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে৷
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক দল সংগঠনগুলির জনসভায় গাড়িতে ওভার লোড করে কিংবা বিপদের ঝুকি নিয়ে কর্মী সমর্থকরা যাতায়াত করেন৷ এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনও তেমন কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে না৷ তাতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে গাড়িগুলি৷