নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ আগস্ট৷৷ বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বেড়ে চলেছে৷ সেই সাথে রাজনৈতিক সংঘর্ষও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে৷ বুধবার জম্পুইজলা বাজারে সিপিএমের সভায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে আইপিএফটি’র বিরুদ্ধে৷ ঐ সভায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়াও উপস্থিত ছিলেন৷ আইপিএফটি’র সমর্থকদের হামলায় মন্ত্রীর শরীরে কোন আঘাত না লাগলেও তিনজন সিপিএম কর্মী আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর৷ আইপিএফটি’র সমর্থকদের আক্রমণের মুখে মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া সহ সভায় উপস্থিত অন্যান্য নেতৃত্বরা পাশ্ববর্তী টিএসআর ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেন৷ পরে, সেখান থেকে শ্রীজমাতিয়াকে এসকর্ট করে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়৷ এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে৷ সূত্রের খবর, এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ সিপিএম এবং আইপিএফটি’র মধ্যে পুণরায় সংঘর্ষ যাতে না শুরু হয় তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
জানা গেছে, এদিন বিকেলে জম্পুইজলা বাজারে সিপিএম’র সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল৷ অভিযোগ, সভা শুরু হতেই আইপিএফটি’র সমর্থকরা ইট পাটকেল ছুড়ে সিপিএম কর্মীদের উপর৷ ঐ সভায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়াও উপস্থিত ছিলেন৷ তৎক্ষনাত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ কিন্তু, সভা শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষন আগে আইপিএফটি’র সমর্থকরা পুনরায় হামলা চালান৷ সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থল থেকে মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া সহ সিপিএম’র নেতৃত্বদের পাশ্ববর্তী টিএসআর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু, আইপিএফটি’র হামলায় সভায় উপস্থিত তিন সিপিএম কর্মী আহত হন৷ এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়াকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়৷ ঘটনার খবর পেয়ে, পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারীকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ গোটা এলাকায় প্রচুর নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়৷ দুই দলের মধ্যে পুণরায় সংঘর্ষ যাতে না বাধে সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ প্রশাসন৷ ধারনা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার গোলাঘাঁটির ঘটনার জেরেই আজ জম্পুইজলায় হামলা সংঘটিত করেছে আইপিএফটি৷
2017-08-31