আগরতলা-আখাউড়া রেল চলবে ’১৯ এর জানুয়ারীতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ আগস্ট৷৷ আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে৷ শুধু তাই নয়,

আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত রেল লাইন সংযোগের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রী সরকারের আধিকারীকরা৷ বুধবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচলও শুরু হয়ে যাবে৷ ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়টি উভয় দেশ সুনিশ্চিত করেছে৷
এবিষয়ে রাজ্যের পরিবহন সচিব সমরজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ নিয়ে ঢাকায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে, ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন৷ বৈঠকে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হবে বলে উভয় দেশ সুনিশ্চিত করেছে৷ শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচলও শুরু হয়ে যাবে৷ শ্রীভৌমিক জানান, দুই দেশে জমি অধিগ্রহণের কাজ জোর কদমে চলছে৷ ভারতের অংশে ইতিমধ্যে মোট ৭২ একর জমির মধ্যে ৪৯ একর জমি অধিগ্রহশ শেষে সেই জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি ২৩ একর জমির মধ্যে ১৮ একর জমি সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে অধিগ্রহণ হয়ে যাবে৷ অবশিষ্ট ৫ একর যা কাটাতারের বেড়ার নিকটবর্তী তা নভেম্বরের মধ্যে অধিগ্রহণ সম্ভব হবে৷ তিনি জানান, বাংলাদেশেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই বলে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ডিসি সুনিশ্চিত করেছেন৷ শ্রীভৌমিক জানান, বাংলাদেশের অংশে মোট ৬০ একর জমির মধ্যে ৩৮ একর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে৷ বাকি জমিও খুব শীঘ্রই অধিগ্রহণ হয়ে যাবে৷ তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত করেছে, মাস কয়েকের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের সমাপ্ত হলে কাজ শুরু করার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করে দেবে৷ ভারতের অংশেও আগামী চলতি ইংরেজী বছরের ডিসেম্বর থেকে রেল লাইনের কাজ শুরু হয়ে যাবে৷
[vsw id=”6DHuZuLwAFY” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]শ্রীভৌমিক জানিয়েছেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের বিশেষ করে ত্রিপুরার তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে৷ প্রথমত, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপন হলে পণ্যবাহী রেল চলাচলের পাশাপাশি যাত্রীরেল চালানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ এর পেছনে যুক্তি, ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যেতে গেলে সড়ক পথে মোট ১৮০০ কিমি পথ অতিক্রম করতে হয়৷ অথচ, বাংলাদেশের উপর দিয়ে কলকাতা যেতে মাত্র ৪৮০ কিমি পথ অতিক্রম করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে রেল লাইনটি চট্টগ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারনের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি বাংলাদেশের রেল লাইন ব্রডগেজ হউক, চাইছে ত্রিপুরা৷ এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, সমস্ত লাইন ডুয়েল গেজ হবে৷ তাতে, মিটার গেজ এবং ব্রডগেজ উভয় ট্রেন চালানো যাবে৷
এদিকে, বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এম সুববা রাইডুর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ভারতের অংশে নিশ্চিন্তিপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ মূলত, রেলের কাজের পর্যালোচনার অঙ্গ হিসেবেই এই সফর বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন সচিব সমরজিৎ ভৌমিক৷ শেষে তাঁরা আগরতলা রেল স্টেশনও পরিদর্শন করেছেন৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের পুরো খরচ বহন করছে ভারত সরকার৷ ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৯৭ কোটি ত্রিপুরা সরকার পেয়েছে৷ ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক এবং ডোনার মন্ত্রক এই প্রকল্পের পুরো খরচ বহন করবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *