নয়াদিল্লি, ২৮ আগস্ট (হিঃস)৷৷ অবশেষে নিষ্পত্তি হতে চলেছে ডোকলাম নিয়ে ভারত – চিন বিবাদ৷ ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দু’দেশেরই৷ সোমবার টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর দু পক্ষই বিতর্কিত সীমানা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে৷ গত কয়েক সপ্তাহে এই নিয়ে আলোচনায় জট কাটে৷ দুই দেশ নিজেদের সমস্যা একে অপরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে৷ নিজেদের উদ্বেগের কথাও চিনকে বোঝানো গিয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক৷ সেই আলোচনার ভিত্তিতেই ডোকলাম থেকে দ্রুত সেনে সরিয়ে নেবে দুই দেশই৷ গত জুন মাসে, ডোকলামে চিনা সেনার পাকা রাস্তা তৈরি নিয়েই আপত্তি জানায় ভারত৷ তারপর থেকেই ওই অঞ্চলে দু পক্ষই সেনা মোতায়েন করে রাখে৷ দুই দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি ও পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে৷ ডোকলাম নিয়ে প্রায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারত-চিন সীমান্তে৷ ভারত – চিন সীমান্ত বিবাদের জের পড়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও৷ আগামী সেপ্ঢেম্বর মাসের ৩ তারিখ ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই এই সিদ্ধান্ত চিন সরকারকেও স্বস্তিতে রাখল৷ চিন যেমন সেনা সরাবে, সেভাবে ভারতও ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নেবে৷ ডোকলাম নিয়ে এই দশকে সবথেকে বেশি উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দুদেশের মধ্যে৷ দু পক্ষের প্রায় ৬০০ সেনা পূর্ব হিমালয়ের প্রান্তে তৈরি ছিল৷ ডোকলাম নিয়ে ভারত শুরু থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিল৷ কিন্তু চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে নানারকম প্ররোচনামূলক মন্তব্যে করতে থাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছিল৷ এমনকী চিন ঘুরিয়ে বুঝিয়েছিল ভারতকেই সেনা সরাতে হবে৷ চিনের সেনা সরানোর সিদ্ধান্তকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷
2017-08-29