রাঙ্গামাটিতে কাঠের সেতু ভেঙ্গে পড়তেই স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে বিধায়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ আগস্ট ৷৷ পূর্ত পাপের বোঝা বইতে হলো সাধারণ মানুষকে৷ জনগনের দীর্ঘদিনের আশংকাই সত্যি হলো আজ৷ ভেঙ্গে পড়লো অমরপুর-তেলিয়ামুরা সরকে অবস্থিত অমরপুর রাঙ্গামাটি কাঠেরসেতুটি৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টা নাগাদ আচমকাই একটি ইট বোঝাই ট্রিপার সহ ভেঙ্গে পরলো দীর্ঘবছরের নড়বরে রাঙ্গামাটি কাছের সেতুটি৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টিআর০১ এন ১৮৯২ নম্বরের একটি ট্রিপার গানি ব্রীজটি পার হবার সময় আচমকাই ভেঙে পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গেই ব্রীজের দুপাশে আকে পড়ে বহু পথ চলতি মানুষ সহ যান বাহন৷ পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় অমরপুর-তেলিয়ামুড়া সরকে যান চলাচল৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগনের সাথে কথা বললে উনারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভাবেই পূর্ত দপ্তর ও আরক্ষা প্রশাসনকে দায়ি করেন৷ তারা বলেন যে মাত্র কিছুদিন পূর্বে মেরামত করা হয়েছিলো ব্রীজটি, কিন্তু পূর্ত দপ্তরের নিম্নমানের কাজ ও ক্ষামখেয়ালিপনার দরুন এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়৷ সহুবার সেতু সারাই করার দাবী এলাকাবাসীর কর্ণপাত করেনি পূর্ত দপ্তর৷ পাশাপাশি আরক্ষা দপ্তরের গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে জনগন৷ স্থানীয়দের অভিযোগ সকাল থেকে রাত্র সর্বক্ষণ এই ব্রীজে পুলিশি টহলদারি থাকার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা না বাজতেই পুলিশ বাবুদের আর এলাকাতে দেকা যায়না৷ শুক্রবার সকালে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন দপ্তরের কর্মকর্র্তরা৷
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরো জানা যায় যে সারাদিন পুলিশ বাবুদের টহলদারিতে খামতি থাকলেও রাতের আধারে পকেট পুুরানোর ব্যবসা রীতিমতো জারি রেখেছেন বীরগঞ্জ থানার পুলিশ বাবুরা৷ বৃহস্পতিবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো সেতুর ধারন ক্ষমতার বাইরে মালবোঝাই লনি গোপন সমঝোতার পাশ দেওয়ায় ঘটে বিপত্তি৷
ঘটনার ঘবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক পরিমল দেবনাথ সহ পূর্ত দপ্তরের কার্যনির্র্বহী আধিকারিক বিজন দেববর্মা৷ সাংবাদিকদের প্রশ্ণের জবাবে উনি বলেন যে ব্রীজটির যেই প্রান্ত ভেঙে পরে তার বীপরিত প্রান্তে উনারা মেরামতের কাজ করেছিলেন৷ উনি বলেন যে ৮ টনের বেশি ইট বোঝাই ট্রিপার গাড়িটি নির্দিষ্ট ক্ষমতাবিহীন ব্রীজটির উপরদিয়ে চলাচলের কারনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ বিধায়ক পরিমল দেবনাথ এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ায় চরম ক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা৷ তবে, উল্লেখ্য বিষয় হলো উন্নয়নের জোয়ারে বয়ে যাওয়া লাল ত্রিপুরায় এই ধরনের ঘটনা প্রায়সই ঘটে চলছে৷ উন্নয়নের জন্য রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ঢালাও হারে নাকি পয়সা খরচ করে চলছে ৷ এখন প্রশ্ণ, তারপরেও কেনো দুর্ভোগের চরম সীমায় রাজ্যের জনগন৷ এমনটাই সমালোচনা চলছে অভিজ্ঞমহলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *