পটনা, ১৩ আগস্ট (হি.স.): ভাগলপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। ওই সংস্থাটির বিরুদ্ধে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা বেআইনিভাবে হাজানোর অভিযোগ এনেছেন লালু। ইতিমধ্যে এই ঘটনাটির তদন্ত করছে ইকোনমিক অফেন্স ইউনিট বা ইওইউ। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব অঞ্জনী কুমার সিং জানিয়েছেন, ৩০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা হাতিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
শনিবার লালুপ্রসাদ যাদব এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে লালুপ্রসাদ বলেছেন, ১০০০ কোটি টাকার ওপর হাতিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। রাজ্যের টাকা বাইরে অন্যত্র পাচার করা হয়েছে। ওই টাকা রিয়েল এস্টেট-সহ ও অন্যান্য জায়গায় লগ্নি করা হয়েছে।
এদিন লালুর দাবি, তদন্ত ঠিকঠাক হলে দেখা যাবে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগসাজশ করে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। রাজ্য সরকার ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে লালুপ্রসাদ সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার গেলে সত্য প্রকাশ পাবে। এছাড়া, ক্যাগের কাছে আরজেডি-র তরফে স্পেশাল অডিট করানোর আবেদন জানানো হবে। ইডিরও এই দুর্নীতির তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন লালু।
এখানেই থামেননি লালুপ্রসাদ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রক ও বাণিজ্যকর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুশীল কুমার মোদি। তাই তাঁর দায়িত্ব থেকে যায়। কেননা অর্থ মন্ত্রকের সম্মতি ছাড়া এত টাকা হাতানো যেত না। এর পাশাপাশি এই আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্যে লালু দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকেও। তাঁর দাবি, নীতিশ ও সুশীলের মদতেই এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটেছে। নীতিশ কুমার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাকে পুরস্কৃতও করেছেন।
লালুর অভিযোগ, ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেন প্রমুখ। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা ছবিও তুলেছেন।
আসছে বাদল অধিবেশনে বিষয়টি বিধানসভায় তুলবেন আরজেডি বিধায়কেরা। প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট থেকে শুরু হবে বাদল অধিবেশন। Wanted To Sacrifice My Son Tejashwi
অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে একহাত নিয়েছেন লালুপ্রসাদ। লালুপ্রসাদ বলেছেন, উন্নয়নের নামে রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন নীতিশ। এদিকে লালুর অভিযোগের জবাবে জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, শুধুমাত্র ছবি দেখিয়ে কেলেঙ্কারিতে যু্ক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না। লালুকে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।