কদমতলা সুকলে মিড-ডে-মিল নিয়ে অভিযোগের পাহাড়, শিক্ষক-শিক্ষিকারা করলেন ভুঁড়িভোজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৮ আগস্ট৷৷ উত্তর জেলার কদমতলা দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের প্রাইমারি সেকশনের বাংলা মিডিয়াম ও ইংরেজি মিডিয়াম শিক্ষক শিক্ষীকদের আজব কান্ড৷ প্রতিদিনের মিড-ডে মিলের টাকা বাঁচিয়ে মাংস পার্টি সরকারী সুকলে সুকল চলাকালিন সময়ে৷ অবশ্য এই মাংস দিয়ে রাজভোগ খাবারের কিছু অংশ গেল সুকলের বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়ামের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের পেটে৷ এলাকা জুড়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর মিশ্র পতিক্রিয়া৷ উত্তর জেলার কদমতলা দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের অনেক ঐতিহ্য থাকলেও ইদানিং কালের কিছু হগব মার্কা শিক্ষক শিক্ষিকাদের কারনে সুকলের পুরনো ঐতিহ্যকে কতটুকু তলানিতে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ পাশাপাশি সুকলের পঠন পাঠন উঠেছে লাটে৷ শিক্ষক শিক্ষিকারা নাম মাত্রই সুকলে আসেন৷ প্রতিটি সুকলের মিড-ডে -মিলের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয় তাতে ছাত্রছাত্রীদের পেটভরে খাওয়া তো দূরের কথা প্রত্যেক দিন মিড-ডে -মিল জুটবে না যদি প্রত্যেক দিন সুকলের ছাত্রছাত্রীরা সবাই সুকলে আসে৷ কাবণ বর্তমান বাজারের খাদ্য সামগ্রী সরকারের ধার্য্য করা মূল্য অনেকটাই কম, ঘাটতি থেকে যায়৷ কিন্তু তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিক্রমি কদমতলা দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের প্রাইমারি সেকশনের বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং মিড-ডে-মিল অর্গেনাইজাররা৷ মিড-ডে-মিল খেলেও শিক্ষকরা স্টাফ রুমে বেশ আরাম করেই খেলেন রাজভোগ৷ সুকলের বাংলা মিডিয়ামের প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র চন্দ্র নাথ জানান ছাত্রদের নাকি রুচি পরিবর্তনের জন্য মাংস ভাত আজ দেওয়া হয়েছে৷ মোট ২৪৮ জন ছাত্রছাত্রী খেয়েছে৷
অপরদিকে মিড-ডে-মিলের ৪ জন রাধুনি৷ বাংলা মিডিয়ামের ৩ জন এবং ইংরেজী মিডিয়ামের ১ জন৷ তারমধ্যে এক রাধুনি জানান সুকলের শিক্ষকরা ২-৩ মাস পর পর এমন ভাবে মাংস ভাতের আয়োজন করে থাকেন৷ রাধুনির কথায় আজ ২৮০ জনের রান্না করেছেন৷ অর্র্থৎ প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র চন্দ্র নাথ এবং রাধুনির কথায় অনেকটাই অমিল৷ তার মানে প্রধান শিক্ষক মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন৷ মিড-ডে-মিলের ইনচার্জ শিক্ষক পরিতোষ দাস সংবাদ কর্মীদের সাথে বেশ তর্কযুদ্ধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েন৷ পাশাাপাশি এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান বিনয় ভুষণ নাথ এ ব্যাপারে কোন কিছুই জানে না বলে জানান৷ তবে উনি খবর পেয়ে সুকলে ছুটে আসেন৷ এবং মিড-ডে-মিল ইনচার্জ পরিতোষ দাসকে বলেন, সুকলে যেহেতু মাংস ভাত হচ্ছে তাহলে এসএমসি বডিকে জানালো না কেন সুকল কর্তৃপক্ষ? উত্তরে মাষ্টার মশাই পরিতোষ দাস জানান এর আগেও অনেকবার এভাবে মাংস ভাতের আয়োজন করেছেন কিন্তু এসএমসি কে বলেননি৷ কিন্তু এখন কেন এসএমসি কে বলতে হবে৷ আজকের এই রাজভোগ মিড-ডে-মিল আয়োজন হয়েছিল ২৮০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য কিন্তু বাস্তবে ২০০ জন ছাত্ররা খেতে পেরেছে কিনা তা সন্দেহের৷
এদিকে নানা মহলে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করে দিয়েছে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিলের টাকা বাঁচিয়ে শিক্ষকরা এসএমসি বডি স্থানীয় প্রধান, অভিবাবককে না জানিয়ে কেমন করে এত বড় সীদ্ধান্ত নিল? কেউ কেউ আবার বলতে শুরু করে দিয়েছেন এটা সুকল না হোটেল? কান পাতলে শোনা যাচ্ছে স্থানীয় অভিবাবকরা উনাদের ছেলে মেয়েদের অন্যত্র সুকলে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন ঐ সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *