নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৮ আগস্ট৷৷ উদয়পুর মহকুমার জামজুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস অফিস (পুরাতন কংগ্রেস ভবন) দখল নিল সাচ্চা কংগ্রেসীরা৷ তৃণমূল কংগ্রেস দলের পতাকা, সাইনবোর্ড ফেলে, ঘরের তালা ভেঙ্গে নতুন করে কংগ্রেসের পতাকা, ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয় অফিস৷ হয় সভা৷ তাতে ভালো সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা অংশ নেয়৷ বিজেপিতে যোগ দিয়ে এসেই যারা ভেবেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস ভবনকে বিজেপি অফিসে পরিনত করবেন, তাদের আশায় জল ঢেলে দিলেন মিশাদ মিঞার নেতৃত্বে কংগ্রেসকর্মী সমর্থকরা৷
জামজুড়ি এলাকায় বড়াবরই কংগ্রেস দল শক্তিশালী৷ জামজুড়ি পঞ্চায়েতও কংগ্রেস দলের দখলে৷ পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ব্যাপক অংশে মুসলিম অংশের জনগন৷ প্রায় এক বছর আগে রাধাকিশোরপুর বিধানশভা কেন্দ্রে কংগ্রেস বিধায়ক প্রনজিৎ সিংহ রায়ের হাত ধরে বেশিরভাগ কংগ্রেস কর্মী, নেতা যোগ দেয় মমতা ব্যানার্জীর দলে৷ সেই মোতাবেক জামজুরির হারাধন স্মৃতি ভবন (কংগ্রেস ভবন) হয়ে যায় তৃণমূল ভবন৷ বারবার জামা পাল্টানো নেতা প্রতি এবার বিদ্রোহ করলেন সাধারন মানুষ৷ জামজুরি পাঞ্চায়েতের ছোট একটি অংশ যখন পুনরায় সুদীপ বর্মন, প্রণজিৎ বাবুদের লেজ ধরে গেরুয়া শিবিরে পদার্পন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তখন অধিকাংশরাই তাতে রাজি ছিলেন না৷ সোমবার যখন আগরতলায় জামা পাল্টানো নেতারা গেরুয়া জামা পরিধান করছেন তখনই জামজুড়িতে জ্বলে উঠে বিদ্রোহের আগুন৷ তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাওয়া বৃহৎ অংশই স্বমহিমায় তেরঙ্গা ঝান্ডার দলে সামিল কংগ্রেস ভবন যেটা বছর খানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে পরিণত হয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করে কংগ্রেস দল৷ এদিন জামজুরি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় দুইশত মহিলা পুরুষ মিছিল করে প্রবেশ করেন অফিসে৷ সেখানে লাগানো তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতিটি জিনিস ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়৷ হাতুড়ি দিয়ে ঘরে লাগানো তালা ভাঙ্গা হয়৷ নতুন করে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা হারাধান ব্যানার্জীর নামে ভবনের সাইনবোর্ড লাগানো হয়৷ তারপর সেই অফিসের ভিতর কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সভা৷ নেতৃতেব ছিলেন কংগ্রেস নেতা, জামজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রক্তান প্রধান মিশাদ মিঞা, বর্তমান প্রধান কাজলরানী দাস, কংগ্রেস নেতা অরবিন্দ নন্দী প্রমুখরা৷ এখন দেখার কংগ্রেস ছেলে তৃণমূল, তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জামজুড়ির নেতারা নিজেদে এলাকায় ফিরে কোন অবস্থা তৈরী করেন৷
2017-08-09