কলকাতা, ৮ আগস্ট (হি.স.): ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুগম করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়| সড়কপথে আগে আগরতলা থেকে কলকাতা যেতে গেলে পাড়ি দিতে হত ১৬০০ কিলোমিটার| কিন্তু ঢাকার মধ্যে দিয়ে আনুমানিক ৫০০ কিমি অতিক্রম করেই ওই দুই শহরের মধ্যে যাতায়ত করা যায়| ২০১৫-র ৬ জুন বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে এই দুই রাজ্যের মধ্যে বাস পরিষেবা শুরু হয়| দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পতাকা নেড়ে ওই যাত্রার শুভারম্ভ করেন| আখাউরা স্থলবন্দর সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড দিয়ে ঢোকে আগরতলাগামী বাস|
নিরাপত্তার অভাবের জেরে বেশ কিছুদিন ওই বাসে পর্যাপ্ত যাত্রী জোটেনি| তার উপর চেকপোস্টে ভিসা পরীক্ষা এবং আনুষঙ্গিক কাজের জন্য অনেকটা সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়| এ সব খতিয়ে বিমানের ভাড়ার তুলনায় কলকাতা আগরতলার বাসের ভাড়া মোটেই কম নয় বলে যাত্রীদের অনেকের অভিযোগ|
ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় হিন্দুস্থান সমাচার-এর এক প্রতিনিধিকে বলেছেন, `আমি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে চিঠিতে অনুরোধ করেছি এই ট্রানজিট ভিসার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে| যাঁরা ভারতেরই এক শহর থেকে অন্য শহরে যান, তাঁদের জন্য এই সুবিধা থাকা উচিত|’ যুক্তির সমর্থনে ত্রিপুরার রাজ্যপাল বলেছেন, রাশিয়ার একটি অংশ থেকে কালিনিগ্রাড যেতে গেলে বেলারুশ আর লিথুয়ানিয়ার উপর দিয়ে যেতে হয়| বেলারুশ আর লিথুয়ানিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর স্বাধীন| কিন্তু এর উপর দিয়ে রাশিয়ার দুই শহরে যাতায়তকারীদের পাসপোর্ট ভিসা লাগে না| দুই জার্মানির পুনরায় একত্রিত হওয়ার আগে যাত্রীর টিকিটে ছাপ মেরে পূর্ব আর পশ্চিমের মাঝে যাতায়ত করা যেত| তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ রকম একাধিক নজীর আছে যেখানে, কেন ভারতের দুটি শহরের মধ্যে অবিভক্ত ভারতের একটা অংশের মধ্যে দিয়ে ভিসা ছাড়া যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে না?
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর-চোপরার কাছে তেঁতুলিয়া করিডর প্রসঙ্গেও সুষমা স্বরাজকে চিঠি দিয়েছেন তথাগতবাবু| ভারতের আবেদনে বাংলাদেশ সরকার সেখানে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু বানিয়ে দিলে ওই অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরার সড়কপথের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমে যাবে| তথাগতবাবু বলেন, প্রকল্পটি হলে উপকৃত হবেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের লোক|
2017-08-08