লেইক চৌমুহনী বাজারে ফিল্মি কায়দায় নাবালিকা অপহরণ, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবীতে থানা ঘেরাও ত্রিকোন প্রেমের জেরে খুন পুলিশ কনস্টেবল নিখোঁজ কিশোরের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ আগষ্ট৷৷ খুন হলেন এক পুলিশ কনস্টেবল৷ ঐ যুবক ধর্মনগরে ট্রাফিক ইউনিটে কর্মরত ছিলেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সমরুর পাড় গ্রামের ভটিরবাজার এলাকায়৷ ত্রিকোন প্রেমের জেরেই এই খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা৷ পুলিশ কর্মী মৃণাল যাদবকে খুন করে তারই মাসতুতো ভাই পঙ্কজ গোয়ালা৷ এই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনতে সক্ষম হলেও পঙ্কজ এখনও অধরা৷ মৃণালকে বড় মাপের একটি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পঙ্কজ৷ এই ব্যাপারে মৃণালের ভাই মণিরাজ যাদব থানায় মামলা করেন৷ কৈলাসহর থানায় মামলার নম্বর ৩২/১৭৷ মামলা হয়েছে আইপিসি’র ৩০২, ৩৪ ধারা মোতাবেক৷ গতকাল রাতেই মৃণালকে ভগবাননগর হাসপাতাল থেকে শিলচরে নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্মনগরের বাগপাশা এলাকায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে৷ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব দেবসহ অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা ছুটে যান৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ বাড়ি থেকে নিখোঁজ কিশোরের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গন্ডাছড়া থানার অধীন নিউ ভগিরথ কলোনী এলাকায় শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে জঙ্গলে বনসিং ত্রিপুরা (১৪) এর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পায় তার মা৷ জঙ্গলে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করতেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আস৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় ময়নাতদন্তের জন্য৷ নিরশ কুমার ত্রিপুরার ছেলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমেছে গন্ডাছড়া থানার পুলিশ৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর নিকটাত্মীয়দের হাতে তুলে দিয়েছে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাতভর দৈহিক অত্যাচার চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে কর্ণসিং ত্রিপুরাকে৷ খুনে ব্যবহৃত কোন সরঞ্জাম অবশ্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ৷ অনুমান করা হচ্ছে অন্য কোথাও খুনের পর মৃতদেহ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে৷ এদিকে, এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গন্ডাছড়া মহকুমার রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷ আগরতলা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফিল্মি কায়দায় নাবালিকা অপহরণ৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চবিবশ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি৷ ঘটনাটি ঘটেছে শহরের লেইক চৌমুহনী বাজার এলাকায়৷ জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার লেইক চৌমুহনী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয়েছে ঐ নাবালিকা৷ পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার গড়িমসির প্রতিবাদ জানিয়ে সাত রামনগর বিজেপি মন্ডলের নেতৃত্বরা থানা ঘেরাও করেছেন শুক্রবার সকালে৷ চবিবশ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দিয়েছেন মন্ডলের নেতৃত্বরা৷ সুমনা দেববর্মা (কল্পিত নাম)-কে ছয়জন দুসৃকতি মুখে কাপড় চাপা দিয়ে অপহরণ করেছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ৷ আরক্ষা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ ইতিবাচক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ তাতে সমাজদ্রোহীরা এবং দুসৃকতিরা নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে চলেছে৷ এদিকে, বিজেপি সাত রামনগর মন্ডল কমিটির নেতৃত্বরা অভিযোগ করেছেন৷ বামেদের মডেল রাজ্যে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ নারী সংক্রান্ত ঘটনা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ অপহৃতার বড় বোন সুস্মিতা দেববর্মা অভিযোগ করেছেন, এলাকার বখাটে যুবকরা জড়িত রয়েছে এই অপহরণ কান্ডে৷ নাবালিকা অপহরণের খবর চাউর হতেই সন্ধ্যারাতে শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছে৷ তবে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণয় সংক্রান্ত ঘটনার জেরেই এই অপহরণ৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে৷ খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *