রাজ্যের সড়ক উন্নয়নে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের জানান দিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ কেন্দ্রীয় মহাসড়ক ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ত্রিপুরায় আরও চারটি নতুন জাতীয় সড়কের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মন্ডাভাইয়া৷
শনিবার রাজ্য সফরে এসে সরকারী অতিথিশালায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ এই অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্র্বধিক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে৷ ত্রিপুরার ছয়টি জাতীয় সড়ক রয়েছে৷ যা প্রায় ৮৫৪ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে৷ যার মধ্যে ৬২১ কিলোমিটারের উপর উন্নয়নের কাজ করবে এন আই এ আই ডি এল এল এবং ২২৩ কিলোমিটারের উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্যের পুর্ত দপ্তর৷ এছাড়াও ২২৯ কিলোমিটার জুড়ে চারটি নতুন জাতীয় সড়কের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বর্তমানে এই বিষয়ে ডিপিআর তৈরীর কাজ চলছে৷ ডিপিআর অনুমোদন হলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে৷ তাছাড়া তিনি জানান, গত তিন বছরে রাজ্যের ১৩১ কিলোমিটার রাস্তার চাড়টি জাতীয় সড়কের কাজে প্রায় ১,৫২৩ কোটি টাকা খরচ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে বর্তমানে ১১১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে মোট ১৪৬ কিলোমিটার রাস্তার তিনটি কাজ চলছে৷ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় রোড ফান্ড (সিআরএফ) এর অধীন রাজ্যের সড়কগুলির কাজও অনুমোদন করা হচ্ছে৷ তিন বছরে সাতটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে৷ এর জন্য ১০৩ কোটি টাকা ব্যয় করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান৷ এছাড়াও সড়ক উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে৷
তিনি বলেন, জলপথে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর পূর্র্বঞ্চলকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে৷ এবিষয়ে কাজও শুরু হয়ে গেছে৷ ত্রিপুরাও এর আওতায় আসছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরী করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া ও কর্মসংস্থানের কাজ শুরু হবে৷ এজন্য শিল্প নগরী বোধজংনগরে একটি স্থান দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য আরও জায়গা চেয়েছে৷ পর্যায়ক্রমে এর মনোন্নয়নও করা হবে৷ তিনি আরও জানান, সারাদেশে জেনেরিক মেডিসিনের প্রচলন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে৷ এজন্য শহর এলাকায় এধরনের ওষুধ বিক্রির দোকান খুলতে গেলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু প্রচুর পরিমাণে এধরানের দোকান না থাকায় চিকিৎসকদের জেনেরিক মেডিসিন লেখার জন্য বাধ্য করা যাচ্ছে না৷ বিভিন্ন প্রশ্ণোত্তরে তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্রের জল নিয়ে চিন সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের সাথে এই নদীর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা দৃঢ় করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পিছপা হবে না৷ ইতিমধ্যেই সীমান্তের উভয়দিকের কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ অরুণাচল সহ চিন সীমান্তে বিভিন্ন দিকে কংক্রিটের মজবুত রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *