আস্থা ভোটে গরহাজির শুরহোজেলি, নাগাল্যান্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন টিআর জেলিয়াং

কোহিমা (নাগাল্যান্ড), ১৯ জুলাই, (হি.স.) : বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে শুরহোজেলি লেইজিৎসুকে গতকাল রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের নির্দেশ কর্ণপাত করার প্রয়োজন বোধ করেননি মুখ্যমন্ত্রী শুরহোজেলি লেইজিৎসু। অবশেষে বাধ্য হয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াংকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে আজ বুধবার বিকেল তিনটেয় শপথগ্রহণ করতে লিখিত আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালাকৃষ্ণ আচার্য।

উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভায় আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশের আবেদন করে মঙ্গলবার গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের কোহিমা বেঞ্চের জোরদার ধাক্কা খেয়েছিলেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী ড. শুরহোজেলি লেইজেৎসু্। মুখ্যমন্ত্রীর ওই আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিকেল প্রায় ৩.৩০ মিনিট নাগাদ গৌহাটি হাইকোর্টের কোহিমা বেঞ্চের বিচারপতি ন্যায়াধীশ এলএস জামির খারিজ করে তাঁকে আস্থা ভোটের সম্মুখীন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পরই নাগাল্যান্ড বিধানসভার অধ্যক্ষ ড. ইমতিওয়াপাংকে আজ বুধবার সকাল ৯-৩০ মিনিটে বিশেষ অধিবেশন ডেকে এতে শুরহোজেলি লেইজিৎসুকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালাকৃষ্ণ আচার্য। সে অনুসারে আজ আস্থা ভোটের মোকাবিলা করতে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন অধ্যক্ষ। সব মন্ত্রী-বিধায়ক একে একে সময়মতো সদনে উপস্থিত হলেও গরহাজির থাকেন শুরহোজেলি লেইজিৎসু। পরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে একসময় বাধ্য বিধানসভা ভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ পরই প্রায় পাঁচ মাস আগে পদত্যাগকারী মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াংকে ফের স্বপদে শপথ নিতে লিখিত আহ্বান জানান রাজ্যপাল পিবি আচার্য।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর আসনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে চলমান দড়ি টানাটানির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী শুরহোজেলি লেইজিৎসুকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ১১ তারিখ নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালাকৃষ্ণ আচার্য। কিন্তু রাজ্যপালের নির্দেশ পেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে জরুরি অধিবেশন না ডাকতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী লেইজিৎসু। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে রাজ্যপালের নির্দেশ মানতে তিনি বাধ্য নন বলে সেদিন জানিয়ে হাইকোর্টে এক আপিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ওই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তাই এই তারখি পর্যন্ত বিধানসভায় আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন হাইকোর্টের বিচিরপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *