নয়াদিল্লি / গুয়াহাটি, ১৩, জুলাই (হিঃস)৷৷ পূর্বোত্তরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ আসাম, মণিপুর এবং

অসমের বন্যা বিধবস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তাঁরে সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত, নবকুমার দলে, লখিমপুরের সাংসদ প্রদান বরুয়া, বিধায়ক উৎপল দত্ত৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিনদিনের সফরসূচিতে তাঁরা রাজ্যের বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে রাজ্য প্রশাসনের কাজকর্মের খতিয়ান নেবেন৷
এখান থেকে ঘুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বন্যা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন করবেন বলে জানা গেছে৷
এখন পর্যন্ত পূর্বোত্তরে তিন রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫৷ মোট ৫৮টি জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, অসমে প্রলয়ংঙ্করী বন্যার তাণ্ডব ক্রমশ বাড়ছে৷ বন্যার কবলে পড়ে শিশু যুবতী প্রৌঢ় সহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে৷ বন্যাক্রান্ত ২৫টি জেলার ৫,১৪৬ টি গ্রামের ১ লক্ষ ৩৮ হাজার হেক্টর কৃষিখেত৷ ক্ষতিগ্রস্ত চার লক্ষ ২৯ হাজার কৃষিজীবী মানুষ৷
গহপুরে ব্রহ্মপুত্রের পাড় থেকে নোমল পেণ্ড নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়ারা৷ মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন মাজপিছলার বাসিন্দা নোমলবাবু৷ তাছাড়া দক্ষিণ শালমারায় ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে গেছেন বিএসএফ -এর বিপুলকুমার মিশ্র নামের এক জওয়ান৷ এদিকে যোড়হাটে ভোগদৈয়ের বন্যায় ভেসে গেছেন প্রদীপ ফুকন নামের আরেক ব্যক্তি৷ তাঁকে উদ্ধার করতে স্থানীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এসডিআরএফ৷ বাঁধ মেরামতের কাজে মত্ত ছিলেন তিনি৷ বোকাখাতেও উদ্ধার জওহরলাল দলে নামের এখ ব্যক্তির মৃতদেহ৷ বুধবার ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি৷ তাছাড়া নগরবেরায় উদ্ধার হয়েছে ববিতা বেগম নামের ছয় বছরের এক শিশুকন্যার মৃতদেহ৷ মরিগাঁওয়ের সুনতলাকুচিতে গণেশ নাথ নামের এক ব্যক্তি জলে পড়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷ তাছাড়া সামাগুড়ি রঙাগড়ায় রঞ্জিত মুঢ়া নামের জনৈক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আজ৷ সাঁতার কেটে নদী পার হতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি৷ বুধবার দুপুরে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল৷ এদিকে গতকাল লখিমপুরে ২২ বছরের এক যুবতী অঙ্কিতা দলে, নগরবেরা ও বকোর সোনতলিতে দুই শিশু, সোনারির আইদেও কাঠনি চা বাগানে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের লাশ উদ্ধার, ধুবড়ির হাওবাপাড়ে ১৭ বছরের এক কিশোর, ফকিরগঞ্জে দুই শিশু, ধেমাজিতে তৃতীয়শ্রেণীর এক ছাত্র, শিবসাগরের ভাটিয়াপাড়ে জনৈক দীপন দাস(যদু-২২)-র মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বন্যার কবলে পড়ে৷ দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷ বিপদসীমা ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের জল৷ জেলার দক্ষিণ শালমারা রাজস্বচক্রের দুই শতাধিক এবং মানকাচর রাজস্বচক্রের ৩৫-এর বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে৷
অরুনাচল প্রদেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ডোনার মন্ত্রী ড. জীতেন্দ্র সিং এদিন জরুরী বৈঠক করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে উত্তর-পূর্র্বঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে কেন্দ্রীয় উচ্চস্তরের এক প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু৷ বৃহস্পতিবার সকালে লীলাবাড়ি বিমানবন্দরে অবতরণ করে লখিমপুল, ধেমাজি, মাজুলি ও কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন রিজিজু৷ অসমের বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি মণিপুরে যান৷ সেখান থেকে বিকেলের দিকে চলে যান অরুণাচল প্রদেশের বন্যাক্রান্ত এলাকায়৷
অসমের বন্যা বিধবস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তাঁরে সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত, নবকুমার দলে, লখিমপুরের সাংসদ প্রদান বরুয়া, বিধায়ক উৎপল দত্ত৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিনদিনের সফরসূচিতে তাঁরা রাজ্যের বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে রাজ্য প্রশাসনের কাজকর্মের খতিয়ান নেবেন৷
এখান থেকে ঘুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বন্যা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন করবেন বলে জানা গেছে৷
এখন পর্যন্ত পূর্বোত্তরে তিন রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫৷ মোট ৫৮টি জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, অসমে প্রলয়ংঙ্করী বন্যার তাণ্ডব ক্রমশ বাড়ছে৷ বন্যার কবলে পড়ে শিশু যুবতী প্রৌঢ় সহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে৷ বন্যাক্রান্ত ২৫টি জেলার ৫,১৪৬ টি গ্রামের ১ লক্ষ ৩৮ হাজার হেক্টর কৃষিখেত৷ ক্ষতিগ্রস্ত চার লক্ষ ২৯ হাজার কৃষিজীবী মানুষ৷
গহপুরে ব্রহ্মপুত্রের পাড় থেকে নোমল পেণ্ড নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়ারা৷ মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন মাজপিছলার বাসিন্দা নোমলবাবু৷ তাছাড়া দক্ষিণ শালমারায় ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে গেছেন বিএসএফ -এর বিপুলকুমার মিশ্র নামের এক জওয়ান৷ এদিকে যোড়হাটে ভোগদৈয়ের বন্যায় ভেসে গেছেন প্রদীপ ফুকন নামের আরেক ব্যক্তি৷ তাঁকে উদ্ধার করতে স্থানীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এসডিআরএফ৷ বাঁধ মেরামতের কাজে মত্ত ছিলেন তিনি৷ বোকাখাতেও উদ্ধার জওহরলাল দলে নামের এখ ব্যক্তির মৃতদেহ৷ বুধবার ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি৷ তাছাড়া নগরবেরায় উদ্ধার হয়েছে ববিতা বেগম নামের ছয় বছরের এক শিশুকন্যার মৃতদেহ৷ মরিগাঁওয়ের সুনতলাকুচিতে গণেশ নাথ নামের এক ব্যক্তি জলে পড়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷ তাছাড়া সামাগুড়ি রঙাগড়ায় রঞ্জিত মুঢ়া নামের জনৈক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আজ৷ সাঁতার কেটে নদী পার হতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি৷ বুধবার দুপুরে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল৷ এদিকে গতকাল লখিমপুরে ২২ বছরের এক যুবতী অঙ্কিতা দলে, নগরবেরা ও বকোর সোনতলিতে দুই শিশু, সোনারির আইদেও কাঠনি চা বাগানে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের লাশ উদ্ধার, ধুবড়ির হাওবাপাড়ে ১৭ বছরের এক কিশোর, ফকিরগঞ্জে দুই শিশু, ধেমাজিতে তৃতীয়শ্রেণীর এক ছাত্র, শিবসাগরের ভাটিয়াপাড়ে জনৈক দীপন দাস(যদু-২২)-র মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বন্যার কবলে পড়ে৷ দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷ বিপদসীমা ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের জল৷ জেলার দক্ষিণ শালমারা রাজস্বচক্রের দুই শতাধিক এবং মানকাচর রাজস্বচক্রের ৩৫-এর বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে৷