নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুলাই৷৷ চাকুরী নিয়ে জটিলতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্য বামফ্রন্ট সরকারের৷ যে ভুল নিয়োগ-নীতির কারণে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিল করে দিল, সেই ১০,৩২৩ জন চাকুরীহারা শিক্ষকদের ফের চাকরি প্রদানের প্রাথমিক পর্যায়েই আইনি সমস্যায় পরতে চলেছে রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর৷ এইসব চাকুরী হারাদের চাকুরীতে পুনরায় নিয়োগের জন্য নতুন করে অশিক্ষক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের যোগ্যতা হিসাবে ৫ বছর ও ৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা অবশ্যক বলে ঘোষণা দেয় বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর৷ ইতিমধ্যে এই পদগুলিতে নিযুক্তির জন্য বিজ্ঞপ্তিও জারি হওয়ায় এই নতুন পদগুলিতে ঘোষিত নিয়োগ নীতি অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এসসিইআরটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার ফ্যাকাল্টিদের সরকারী চাকুরী পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়৷ যদিও ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ তারা চাকুরী থেকে ছাটাই হয়েছেন৷ কিন্তু এর আগে কম্পিউটার ফ্যাকাল্টি হিসাবে নিয়োগ করা হলেও তাদেরকে দিয়ে নিয়মিত শিক্ষকদের মতই ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার উত্তর পত্র পর্যন্ত মূল্যায়ন করানো হয়েছে যার প্রমাণ রয়েছে বিদ্যালয়গুলির পুরানো নথিতে৷
কম্পিউটার ফ্যাকাল্টি পদে চাকরি পেয়েও তারা কোনদিন নিয়মিত শিক্ষকদের মত পাঠাদান কিংবা অন্যান্য কাজ থেকে পিছুপা হননি চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার আশায়৷ চাকুরী থেকে বরখাস্ত কম্পিউটার ফ্যাকাল্টিরা যে যেই সুকলে শিক্ষকতার কাজ করেছিলেন সেই সুকল থেকে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র আদায়রে জন্য প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন৷ প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষকরা তা দিতে অসম্মত হলেও পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের নথিপত্রে এই কম্পিউটার শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান বা অন্যান্য কাজের প্রমাণ পেয়ে বাধ্য হয়ে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র দিয়ে দেন৷ কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজ্ঞতার শংসাপত্রে স্বাক্ষর করলেও উপ-অধিকর্তা স্বাক্ষর করতে অনীহা প্রকাশ করেন৷ এইদিকে শিক্ষা দপ্তরের ঘোষনা অনুযায়ী সোমবারেই অশিক্ষক পদে আবেদন দাখিলের সময়সীমা শেষ হচেছ৷ এই সময়ের মধ্যে সাড়া রাজ্যের কম্পিউটার ফ্যাকাল্টি পদের চাকুরী হারারা তাদের যোগ্যতার শংসাপত্র পায় কিনা, তবে এইসব চাকুরী প্রার্থীরা বঞ্চিত হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা স্থির করে রেখেছে৷
2017-07-10