পাকা সড়কের দাবীতে ক্ষুব্ধ জনগণ আন্দোলনমুখী হচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুলাই৷৷ পাকা রাস্তার দাবীতে আন্দোলনমুখী অমরপুর মহকুমার পূর্ব দুলুমা গ্রামবাসী৷ অভিযোগ, প্রতিদিন রাজ্যে মাকড়সার জালের মতো রাস্তাঘাট তৈরী হচ্ছে৷ সপ্তমের কান্ডারি তথা শাষক দলের নেতৃত্বরা প্রতিবার নির্বাচনের আগে এবং বিভিন্ন সমাবেশে ভাষণের মাধ্যমে গলার রগ ফুলিয়ে এইসব উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু বাস্তব চিত্রটা বলছে একদম উল্টো কথা৷ রাজ্যে এখনো বহু গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, পানীয় জল সহ সাধারন মানুষের নূন্যতম চাহিদা গুলি পৌঁছায়নি৷ ফলে ওইসব এলাকার জনজাতিরা ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হচ্ছে৷ তারপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবী করছেন রাজ্যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে৷
অভিযোগ অমরপুর মহকুমার পূর্ব দুলুমা ভিলেজের রবিবার পাড়ায় এখনো উন্নয়নের ছিটেফোটাও পড়েনি৷ এলাকিটতে প্রায় ৬৫ পরিবারের বসবাস৷ ওই এলাকার বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ রবিবার পাড়া থেকে শহরের সাথে একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘ ৩০-৩৫ বৎসর যাবৎ বেহাল দশায় পরিনত হয়ে আছে৷ কিন্তু দপ্তর কুম্ভ নিদ্রায়৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রনিবার নির্বাচনের প্রাককালে ভোট ভিক্ষায় বেড়িয়ে নেতাবাবুরা আশ্বাস দিয়ে আসেন যে ক্ষমতায় এলে এই রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়া হবে৷ কিন্তু ভোট বৈতরনি পাড় হতেই নেতাবাবুদের টিকির নাগাল পায়না ওই এলাকার জনগণ৷ কয়েক পশলা বৃষ্টি হলে জল কাদাঁ জমে থাকে রাস্তাটিতে, যার ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারেনা গ্রামের লোকজনেরা৷ আর যদিও চলাচল করে তাহলে পায়ের জুতো হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীদের৷ এই বেহাল রাস্তার ফলে ইতিমধ্যে বেশকয়েকটি গাড়ী দুর্ঘটনার কবলে পরতে হয়েছে৷ বহু যাত্রী আহতও হয়েছে কিন্তু তারপরেও দপ্তরের ঘুম ভাঙ্গেনি৷ এই রাস্তার ফলে বহু রোগীকে হাসপাতালের দোয়ার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ৷ কারন এই রাস্তার ফলে এলাকায় কোনো যানবাহন যেতে চাইনা তাই বাধ্য হয়ে ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় রোগিকে৷ এই বেহাল রাস্তা নিয়ে বহুবার নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দোয়ারে হাটতে হাটতে এলাকাবাসীদের কয়েক জুড়া জুতা ছিড়ে গেছে৷ কিন্তু তারপরেও হাল ফেরেনি রাস্তার৷ যতবার এই রাস্তা নিয়ে পঞ্চায়েত সহ ছোট বড় নেতাদের দোয়ারে গিয়েছেন ততবারই আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি৷ এখন দেখার বিষয় উন্নয়নের ঢাক পেটানোতে সিদ্ধহস্ত সপ্তমের কান্ডারিরা কবে নাগাদ এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে? রাস্তাটি সংস্কারে কতটুকু আন্তরিক হন সপ্তমের কান্ডারিরা৷ সেই দিকে তাকিয়ে প্রহড় গুনছেন স্থানীয় গ্রামবাসী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *