ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ সম্পর্কে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুলাই৷৷ ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ সম্পর্কে যে রাজনৈতিক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সে সম্পর্কে

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ ছবি নিজস্ব৷

বিভ্রান্ত না হবার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বাদল চৌধুরী রাজ্যবাসী বিশেষ করে এই কলেজে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন৷ াজ বিকালে মহাকরণে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ (টি এম সি) সম্পর্কে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে মূলতঃ দুটি বিষয় ইতোমধ্যে হাইকোর্টের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে৷ এই দুটি বিষয় নিয়েই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ডাঃ অশোক সিনহা৷ এর মধ্যে একটি বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ বেসরকারী ভাবে চলছে বলে দেখানো হলেও এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারই৷ এই মামলায় টি এম সি’র তৎকালীন পরিচালন কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার উভয়ই তাদের বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করে৷ সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল ত্রিপুরা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক কুমার গুপ্তা এবং বিচারপতি ইউ বি  সাহাকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ পরিচালন করার জন্য সোসাইটির পুনর্গঠন করার নির্দেশ দেন৷ হাইকোর্ট এর জন্য তিম মাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেও ২০১৫ সালের ১৩ মে-ই সোসাইটি পুনর্গঠনের কাজ সম্পূর্ণ করে তা হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, এই কলেজটি সম্পূর্ণ বেসরকারী এবং সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত৷ এটি নিয়ে কোন বিতর্কই চলতে পারেনা৷ হাইকোর্টের আদেশে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবার পরও এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ণ উঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিষ্ময় প্রকাশ করেন৷ ছাত্র-ছাত্রীদের ফিস সম্পর্কে যে প্রশ্ণ উঠেছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, এ নিয়েও ডাঃ অশোক সিনহা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন এবং আদালত তার রায়ও দিয়ে দিয়েছে৷ তিনি বলেন, দেশের যতগুলি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম ফি টি এম সিতেই নেয়া হয়ে থাকে৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এম সি আই) -র স্বীকৃতি পাবার পরই ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে পঠন পাঠনের কাজ শুরু হয়৷ প্রতি পাঁচ বছর পর পর তার পুনর্নবীকরণ করা হয়৷ গত বছরও ৫ই মে এম সি আই-র একটি প্রতিনিধি দল কলেজটি পরিদর্শন করেন এবং ১৬ই মে এই কলেজের এম বি বি এস কোর্সের জন্য এম সি আই তাদের স্বীকৃতি নতুন করে প্রদান করে৷ ২টি পিজি কোর্সের জন্যও এম সি আই-র স্বীকৃতি পাওয়া গেছে৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, সমস্ত টার্মস এন্ড কন্ডিশন মেনে না নিলে এম সি আই কখনোই তাদের স্বীকৃতি দেয়না৷ তিনি বলেন, টি এম সি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য এর পোর্টালেই দেয়া আছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *