চড়িলামের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কাজ বন্ধ , দিশাহারা অবস্থায় রেগা শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৫ জুন ৷৷ রেগা প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ বন্ধ হয়ে আছে চড়িলামের সবকটি পঞ্চায়েতে৷ রেগার সমস্ত শ্রমীকরা প্রচণ্ড হতাশা এবং অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে৷ ২০০৭ সালে লাগু হয়, এর পর থেকে টানা ৫  মাস ধরে রেগার কাজ বন্ধ থাকেনি৷ তবে চড়িলামের দুটি পঞ্চায়েতে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে৷ রেগার কাজ হচ্ছে না কেন? প্রশ্ণ করলে সাধারণ হতদরীদ্র শ্রমিকদের একটাই উত্তর দিচ্ছে, কেন্দ্র থেকে প্রকল্পে টাকা আসছে না৷ শ্রমিকরা ক্ষোভের মুখে এও বলে অভিযোগ  জানায় গতবছরের রেগার প্রাপ্য মজুরীও এখন পর্যন্ত পায়নি৷ অপরদিকে জিআরএসরা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার আবার রেগা প্রকল্পে এখন আর একটি নতুন নিয়ম লাগু করেছে৷ সেটা অন্য কিছু নয় জিও ট্যাগিং অর্র্থৎ যেই জায়গায় রেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে সেই জায়গায় সরাসরি ছবি অনলাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠাতে হবে৷ অত্যন্ত কঠিন পদ্ধতি বলে রেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছেনা বলে জানা গেছে৷ শ্রমিকরা খুব অসহায়ভাবে বিভিন্ন রকম দরিদ্রতার মধ্যদিয়ে দিন কাটাচ্ছে৷ রেগার শ্রমিকরা রেগার কাজ নিয়ে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে৷ ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রেগার প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত কম পরিমানে হয়েছে বলে জানান৷ তবে কিছু রেগা প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় হয়েছে বলেও জানাল ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা৷ তাছাড়া কিছু কিছু পঞ্চায়েত মেম্বার ও অন্যান্য সহযোগীরা মিলেও প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছে এমনই অভিযোগ ওঠেছে গোটা এলাকা জুড়ে৷ তাছাড়া যারা কোনদিন রেগা প্রকল্পের কাজ করেনি তাদের একাউন্টেও নাকি প্রকল্পের টাকা গচ্ছিত হচ্ছে৷ কিছু কিছু রেগা শ্রমিক জীবনধারণ করছে রেগার মজুরী দিয়ে৷ কিন্তু এখন সম্পূর্ণভাবে রেগা প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়েছে৷ তাহলে তাদের সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে৷ যদি পঞ্চায়েত প্রধান, মেম্বার ও ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ব্লক আধিকারিকরা এক কথায় বলে পার হয়ে যায় এফটিও হচ্ছে না, জিও টেকিং এর নানা সমস্যা, ইন্টারনেটে খারাপ, এমনই সমস্যার কথা বলে বইতরণী পার হয়ে যায়৷ রেগার শ্রমীকরা বিভিন্ন চিন্তায় দিন যাপন করছে বলে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *