নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুন৷৷ মঙ্গলবার রাতে পিস্তল, ভোজালির হাতল আর হেলমেট দিয়ে পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়েছে একদল যুবক৷ রাজধানীর উত্তরগেইট এলাকায় ট্রাফিক পয়েন্টের কাছ থেকে কনস্টেবল বিশ্বজিৎ দাসকে টেনে হিচড়ে গণধোলাই দিতে দিতে নিয়ে যায় তারা৷ শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নর্দমায় ফেলে উধাও হয়ে যায় অভিযুক্তদের এই দলটি৷ নর্দমা থেকে তুলে পলিশ কনস্টেবলকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
হাসপাতলের খবর বিশ্বজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এইদিকে পূর্ব থানা সূত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ট্রাফিক পুলিশের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাতে উত্তরগেইটে ট্রাফিকের জিএসপি রাহুল দাসের নেতৃত্বে বাইকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছিল৷ এমন সময় সাজরা দেববর্র্ম নামে এক যুবক বাইক নিয়ে দ্রুত ছুটতে চাইলে ট্রাফিক কনস্টেবল বিশ্বজিত দাস তাকে আটক করেন৷ তার কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় সে ট্রাফিক পুলিশকে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে৷ বাধ্য হয়ে নেশাগ্রস্ত এই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তখন সে পুলিশের সাথে যেতে অস্বীকার করে নিজের মোবাইল থেকে বেশ কয়েকটি ফোন করে৷
মুহুর্তের মধ্যে সাত আটজন উপজাতি যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ডিএসপি রাহুল দাস এই যুবককে নিয়ে পূর্ব থানায় যান৷ সাজরা দেববর্র্মকে নিয়ে যাওয়ার পর ট্রাফিক পুলিশরাও বাইক চেকিং শেষ করে যে যার মতো নিজেদের ইউনিটের দিকে রওনা দেন৷ একা হয়ে যান বিশ্বজিত দাস৷ তখনই সেই সাত আট জন যুবক বিশ্বজিতের উপর চড়াও হয়৷ কিল, চর, লাথি থেকে শুরু করে হেলমেট, পিস্তল সব ব্যবহার করা হয় বিশ্বজিতের মাথায়৷ একসময় মারের চোটে সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজিতকে ড্রেনে ফেলে রেখে পালায় যুবকদের দলটি৷
পুলিশ জানিয়েছে, সিসি টিভি ফুটেজ ইত্যাদি বের করে অভিযুক্তদের খোঁজে বের করার চেষ্টা হবে৷ সাজরা দেববর্র্মকে গ্রেফতার করে পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য অভিযুক্তদের নাম বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ৷