নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া/চুরাইবাড়ি, ২০ জুন৷৷ জায়গার বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পাশ্ববর্তী দুই পরিবারের সংঘর্ষে আহত চার৷ বর্তমানে একজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়াতে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলিয়ামুড়া থানাধীন থানা সংলগ্ণ রাজনগর এলাকায়৷ সংবাদে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গৌতম দত্ত তার দোকানের কাজ করতে ছিল৷ পাশ্ববর্তী দোকানদার সমীর রায় ও গৌতম দত্তের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু করে৷ পরে হাতাহাতি শুরু হয় দুই দোকানদারের মধ্যে৷ পরে দোকান সংলগ্ণ বাড়ী থেকে দুই জনের স্ত্রী বেরিয়ে এসে গৌতম দত্তের স্ত্রী ভবানী বর্মন ও সমীর রায়ের স্ত্রী৷ দুইজনের মধ্যেও হাতা হাতি শুরু হয়৷ এদিকে গৌতম দত্ত ও স্ত্রী ভবানী বর্মন অভিযোগ করে জানান প্রায়ই সমীর রায় ও তার স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত৷ এদিকে সমীর রায়ের অভিযোগ গৌতম দত্ত ও তার স্ত্রী প্রায়ই জায়গা নিয়ে বাক বিতন্ডা চলত৷ তার কারনে মঙ্গলবার দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ দুইটি পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান৷
ধানচাষের জমিতে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কদমতলা পঞ্চায়েত এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে৷ পঞ্চায়েতের শাসক দলের নেতাদের দাপটে গরিব হতদরিদ্র চাষী পরিবারটি রাস্তায় বসে গেছে৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, কিছুদিন পূর্বে দক্ষিণ কদমতলা পঞ্চায়েতের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনজির আলির (পিতা ছৈয়দ আলি) তিনকানি ধানের জমি রয়েছে কদমতলা ডাকবাংলার কাছে৷ উনার জমির সাথে ললিত নাথ ও হিমাংশু নাথের জমি রয়েছে, তাই নিজেদের জমিতে অন্যস্থান থেকে গাড়ি করে মাটি এনে ভরাট করেন৷ তাতে পিচ রাস্তার উপর জলের কালভার্ট সহ নিজের জায়গায় মাটি ফালানোর কারনে কালভার্ট ভরাট হয়ে যায় ফলে বৃষ্টির জল নিকাশের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়৷ তাই জলের ধাক্কায় মাটি পার্শ্ববর্তী মনঞ্জির আলির জমিতে গিয়ে জমা হয়৷ অন্যদিকে মনঞ্জির আলি নিজের জমিতে মাত্র মাস খানেক হয়েছে বুরো ধান লাগিয়েছে৷ তাই নিজের ধানের জমিতে উপরি মাটি এসে পড়ায়, ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হয়৷ সমস্ত জমি নষ্ট হয়ে যায়৷ ফসলও নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই এই বিষয়ে ললিত বাবুর সঙ্গে কথা বসেলে তিনি উল্টো ধমক দিয়ে বলেন, আরো বেশী করে মাটি ফেলবো৷ এলাকার শাসক দলের সমর্থক হওয়ার কারণে নাকি এমন আচরন করছেন বলে জানান মনঞ্জির আলি৷ অন্যদিকে গরিব ক্ষেতমজুর চাষী মনঞ্জিরের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ এই বিষয়ে গরিব চাষী কদমতলা থানায় লিখিত আবেদন জানান সুবিচার পাওয়ার আশায়৷ কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ একবার গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে আর কোন হেলদোল নেই৷ আর এদিকে গরিব চাষী নিজের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে৷ এখন দেখার চাষী উপযুক্ত বিচার পায় কিনা৷
2017-06-21