নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন৷৷ তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা জারি রয়েছে৷ এই ইস্যুতে বিজেপি সিপিএমের সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র অরুন কান্তি ভৌমিক দাবি করেন, তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷ আইপিএফটি’র জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ নিয়ে অবস্থান জানাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্যভাগ দল সমর্থন করে না৷ ফলে, এই ইস্যুতে জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ সমর্থন করার প্রশ্ণই আসে না৷ তবে, এই দাবির পেছনে কারণ নিয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, দীর্ঘদিন বামেরা ক্ষমতায়৷ এডিসি, ভিলেজ কমিটিও তাদের দখলে৷ তা সত্বেও উপজাতিদের উন্নয়ন হয়নি৷ অথচ, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, বিজেপি রাজ্যভাগের দাবিকে সমর্থন করে৷ শুধু তাই নয়, তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করেই দিল্লী থেকে অবরোধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আইপিএফটি এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে৷ এদিন, শ্রীভৌমিক সিপিএমের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এবং দাবি করেন, শাসকদল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপিকে ঢাল করছে৷
অরুণ কান্তি ভৌমিক এদিন বলেন, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অভিযোগ করেছেন বিজেপি বেশী টাকা দিয়ে তাদের নেতা-কর্মী কিনছে৷ এবিষয়ে শ্রীভৌমিকের কটাক্ষ, তাহলে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা বিক্রি হচ্ছেন এবং তাদের নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে৷ অরুণবাবুর বক্তব্য, কোন কিছু বললেই সিপিএম তাতে ষড়যন্ত্র দেখতে পায়৷ আসলে সিপিএম বরাবর ষড়যন্ত্র করছে৷ ১৯৮৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সিপিএম ৪ হাজারের উপর ক্যাডারদের এটিটিএফ নামে জঙ্গলে পাঠিয়েছিল৷ ফের যখন ক্ষমতায় ফিরে আসে তখন ললিত দেববর্মার নেতৃত্বে তাদের আত্মসমর্পণ করানো হয়েছিল৷ এদিন তিনি সিপিএমকে দেশদ্রোহী বলে কটাক্ষ করেন৷ সাথে তিনি জানতে চান, চীনের আগ্রাসন নীতির সিপিএম নিন্দা করে কিনা৷ কারণ, অরুনাচলের কিছু অংশ চীন দখল করেছে৷ পাশাপাশি আরো জানতে চান, চীন ও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে, সন্ত্রাসবাদ এবং আফজল গুরু নিয়ে সিপিএম নিন্দা করে কিনা৷ শ্রীভৌমিকের সাফ কথা, এই সমস্ত বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট না করলে সিপিএম দেশদ্রোহী বলে মনে করা হবে৷
এদিকে, রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে লব-কুশ তৈরি হচ্ছে, তাঁরাই বিজেপি’র অশ্বমেধের ঘোড়া আটকাবে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই বক্তব্যে কটাক্ষের সুরে বিজেপি রাজ্য কমিটির মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিনহা বলেন, তাহলে বিজনবাবুরা এখন রামায়ণ, মহাভারত পড়ছেন৷
2017-06-21