শিক্ষকের কামুকতায় পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে কুমারী মা হল সুকলছাত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১২ জুন৷৷ গুণধর শিক্ষকের কামুকতার শিকার হয়ে কুমারী মা জন্ম দিল এক পুত্র সন্তানের৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ জেলার মনুবাজারে৷ কলঙ্কিত শিক্ষক শ্যামল দে’র বিরুদ্ধে মনুবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে আত্মগোপন করেছে৷ এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷
সংবাদে প্রকাশে, সাব্রুমের চাতকছড়ির কিশোরী অনিষা ত্রিপুরা (কল্পিত নাম)৷ বয়স সতের৷ দেখতে রূপবতী হওয়ার সাথে পড়াশোনাতেও মেধাবী৷ বাবা শিক্ষক৷ মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করার পর বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করানোর জন্য তাকে স্থানীয় সুকলে ভর্তি না করিয়ে মনুবাজার উচ্চমাধ্যমিক সুকলে ভর্তি করান৷ মেয়েকে মনুবাজারে একটি বাড়ি ভাড়া করে দেন৷ সেখানেই থেকে সুকলে ও গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়াশুনা করত অনিষা৷ মনুবাজার সুকলের বিজ্ঞানের শিক্ষক শ্যামল দে’র কুনজর পরে অনিষার উপর৷ শ্যামল দে’র বাড়ি আগরতলায়৷ তিনি বিবাহিত৷ মনুবাজারের সুকল চৌমুহনীর বণিক পাড়ায় বাড়ি ভাড়া করে থাকেন৷ সুকল শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গৃহ শিক্ষকতাও করেন৷ সেই সুবাদে অনিষার সাথে নৈকট্য বাড়িয়ে দেন শিক্ষক শ্যামল দে৷ প্রায়ই অনিষার ভাড়া বাড়িতে যাওয়া আসা করত শ্যামল দে৷ কারো কোন সন্দেহ হয়নি৷
রবিবার রাতে অনিষা ত্রিপুরা কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়৷ সুকল পড়ুয়া একদশ শ্রেণীর ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে পৌঁছতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিস্ময়ের সঞ্চার হয়৷ বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনুবাজার থানার পুলিশকে জানায়৷ পুলিশ যাওয়ার আগেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে কুমারী মা হয় অনিষা ত্রিপুরা৷ তারপর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ অভিভাবকরা পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলার জন্য অনুমতি দিতেই অনিষা জানায়, তার এই অবস্থার জন্য দায়ী মনুবাজার সুকলের বিজ্ঞানের শিক্ষক শ্যামল দে৷ ঐ শিক্ষক তার ভাড়াবাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন৷ অনিষাকে ফুসলিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন শিক্ষক শ্যামল দে৷ তারপর থেকে বহুবার অনিষার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্যামল দে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে৷ তাতে একসময় অনিষা গর্ভবতী হয়ে পড়ে৷ অনিষা জানায় এই বিষয়ে যদি কাউকে কিছু বলে তাহলে পরিণতি ভাল হবে না৷ এই ধরনের নানাহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হত৷ দিনের পর দিন ঐ কিশোরীকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে কামুক শিক্ষক শ্যামল দে তার যৌন চাহিদা পুরণ করে৷ এদিকে, ঐ কিশোরীর শারীরিক অবস্থারও পরিবর্তন হতে থাকে৷ একসময় ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় অনিষা৷ এমন কি সুকলেও যায়নি৷ এত বড় কান্ড ঘটিয়ে নির্দ্বিধায় চলছিলেন শিক্ষক শ্যামল দে৷ সোমবার শিক্ষক শ্যামল দে’র বিরুদ্ধে মনুবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ তারপর থেকে সে ভাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে৷ পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাসী চালিয়েছে৷ তাঁর হদিশ মিলেনি৷ এদিকে, ঐ কুমার মা অনিষা ত্রিপুরার অভিভাবকরাই বা কেন বিষয়টি এতদিন চেপে গিয়েছিলেন এনিয়েও জনমনে প্রশ্ণ উঠছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *