নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ বিভিন্ন বর্ণের মানুষের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চলছে দেশে৷ কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন যাতে তেজি আকার ধারণ করতে না পারে, তাই তপশীলি জাতি, তপশীলি উপজাতি এবং সংখ্যালঘু অংশের মানুষের আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা চলছে৷ শনিবার নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন এবং দিনমজুর ইউনিয়নের সভায় এই বিষোদ্গার জাহির করেন সিট্যু সভাপতি তথা পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে৷ তাঁর দাবি, এরাজ্যে মানুষের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করা হয় না৷
এদিন শ্রী দে বলেন, সারা দেশেই এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ মানুষের মধ্যে একতা নষ্টের চেষ্টা চলছে৷ জাতি, বর্ণ, ধর্মের মধ্যে বিভাজনের বলিরেখা টেনে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ তিনি উদ্বেগের সুরে বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তপশীলি জাতি, তপশীলি উপজাতি এবং সংখ্যালঘু অংশের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে৷ মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার চেষ্টাকে ভাঙার উদ্দেশ্যেই এইধরনের চক্রান্ত চলছে৷ তিনি দাবি করেন, এরাজ্য অভিন্ন৷ এখানে জাতি, ধর্ম বর্ণের মধ্যে একতা আছে৷ তবে, এই একতাকেও ভাঙার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে সতর্ক করেন৷
এদিন তিনি বলেন, দেশে এখন শ্রমিকরা খেতে পায় না৷ আগে গ্রামে কাজের অভাব ছিল৷ এখন গ্রাম-শহর সর্বত্রই কাজের অভাব দেখা দিয়েছে৷ আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৩০ শতাংশ কর্মী কাজ হারাবেন বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত এনেছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার৷ রাজ্যে রেগায় শ্রমদিবস কমিয়ে দিয়েছে৷ তাঁর মতে, কেন্দ্রের এই জনবিরোধী পদক্ষেপে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে৷ শুধু রাজ্যে নয়, কেন্দ্রের নীতিতে গোটা দেশে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে৷ তাঁর বক্তব্য, মানুষ কাজ হারালে, আয় উপার্জন কমে গেলে এর বহুমুখী প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে৷ কারণ, তখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়৷ তাতে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হন৷ তাই তাঁর পরামর্শ, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন আরো তেজি করতে হবে৷
2017-06-11