নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জুন৷৷ মমতা দিদির জোড়াঘাসফুল রাজ্যে শুকিয়ে উঠার মুখে৷ দলের একাংশ বিধায়ক পদ্মমুখী৷ রাজ্য রাজনীতির অলীকে জোর আলোচনা চলছিল সুদীপ বর্মণরা মোদির দলে যোগ দিচ্ছেন৷ জল্পনা একধাপ উস্কে দিল তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম জেলা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে সুদীপ বর্মণ অনুপস্থিত৷ সম্মেলন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্যে তৃণমূলের অন্যতম শ্রষ্ঠা সংগঠন প্রসারের সুদীপ বাবু অজ্ঞাত কারণে মুকুলবাবুকে বয়কট করেন৷ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাধারঘাট কমিউনিটি হলে কর্মী সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, বিশ্ববন্ধু সেন অনুপস্থিত৷ দীলিপ সরকার শারীরিক কারণে গড় হাজির হলেও অন্যান্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের জরাজীর্ণ অবস্থা প্রকাশিত হল সম্মেলনে৷
সর্বভারতীয় তৃণমূল সহ সভাপতি মুকুল রায়কে প্রশ্ণ করা হলে দলবদল ইস্যুতে রীতিমতো চটে লাল৷ রাজ্যে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে বিকল্প তৃণমূল দৃঢ় অবস্থানের আত্মসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন৷ বিধায়ক কিংবা নেতারা রাজ্যে দলবদল করলে সর্বভারতীয় নেতাদের কিছু আসে যায় না সাফ বার্তা দেন৷ দিদির ছায়াসঙ্গীর বক্তব্যে স্পষ্ট খুব শীঘ্রই দলবদলের মহড়ায় শিলমোহর পড়তে চলছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান মুকুলবাবুরা নিশ্চিত রাজ্যে পরিবর্তন তৃণমূল করতে পারবে না৷ সম্মেলনের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে প্রবঞ্চক, মিথ্যাবাদী, দূর্নীতিবাজ বলে তোপ দাগেন সাংসদ মুকুল রায়৷ মোদির কৃপায় মানিকবাবু সিবিআই হানা থেকে মুক্ত৷ কমিউনিস্ট ও বিজেপি নিয়ে সুর চড়ান৷ তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন বিপাকে সভাপতি তথা বিধায়ক আশীষ সাহা, সম্মেলনে কানঘুষু শোনা যায় অনুরাগীদের মধ্যে৷
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে৷ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য দলে আর নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করছেন৷
2017-06-05