ফলাফলে অসন্তুষ্ট দ্বাদশের ২১৫০ পরীক্ষার্থীর রিভিউ’র আবেদন পর্ষদে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন৷৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ২১৫০ জন ছাত্রছাত্রী৷ তাই তারা উত্তরপত্র রিভিউ’র আবেদন করেছে৷ পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক মিহির দেব জানিয়েছেন, এবছর দ্বাদশে বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর প্রায় ২১৫০ জন ছাত্রছাত্রী উত্তরপত্র রিভিউ’র আবেদন করেছে৷ তিনি জানান, একটি বিষয়ে ১৫০০ জন এবং তিনটি বিষয়ে প্রায় ৬৫০ জন ছাত্রছাত্রী উত্তরপত্র রিভিউ’র আবেদন করেছে৷ তিনি বলেন, যথা সময়ে রিভিউ’র আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদে জমা পড়েছে৷ সে মোতাবেক উত্তরপত্র রিভিউ’র কাজও শুরু হয়েছে৷ আরও ৫/৬ দিন সময় লাগবে রিভিউ’র কাজ শেষ হতে৷ তিনি জানান, উত্তরপত্র রিভিউ’র সমস্ত কাজ ১০ জুনের আগে কিছুতেই সমাপ্ত হবে না৷ কারণ, উত্তরপত্র রিভিউ’র জন্য ৩৫ জন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাই ঐ সময়ের আগে কিছুতেই সমস্ত কাজ শেষ হবে না বলে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন৷
এদিন তিনি আরো জানান, আগামী ৬ জুন মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷ দ্বাদশের কলা এবং বাণিজ্য বিভাগেরও ফলাফলও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু, উত্তরপত্র মূল্যায়ণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনীহার কারণে যথাসময়ে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না৷
তিনি জানান, গত বছর ২ জুন মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল৷ কিন্তু, এবছর ফলাফল ঘোষণা করতে চারদিন পিছিয়ে যেতে হল৷ তিনি জানান, এবছর দ্বাদশ এবং মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে প্রায় ৬০০ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা আসেননি৷ ফলে, পর্ষদকে মহা সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ এদিন তিনি আরো বলেন, আগামী বছর এই সমস্যা আরো বড় আকারে দেখা দিতে পারে৷ কারণ, এবছর ৬০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উত্তরপত্র মূল্যায়ণে আসেননি৷ তাঁদের দেখাদেখি এই সংখ্যা বেড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ হতে পারে৷ এমনটা হলে সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা কোনমতেই সম্ভব হবে না৷
এই সমস্যার মূলে কি কারণ রয়েছে, এই প্রশ্ণে জবাবে পর্ষদ সভাপতি বলেন, অতীতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোন ইএল (আর্ন লিভ) ছিল না৷ ফলে, গ্রীষ্মের ছুটিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে আসলে তাঁরা ইএল পেতেন৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার দু’দফায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ২০ দিনের ইএল মঞ্জুর করেছে৷ ফলে, এখন তাঁরা উত্তরপত্র মূল্যায়ণে উৎসাহ দেখান না৷ কারণ, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে উত্তরপত্র মূল্যায়ণ না করলেও তারা ইএল পাচ্ছেন৷ তিনি জানান, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়তো, আগামী বছর দ্বাদশ এবং মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে আরো কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হবে পর্ষদ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *