পে এন্ড পেনশন রিভিশন কমিটি ১৫০ পাতার রিপোর্ট তুলে দিল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মে৷৷ রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়ল পে এন্ড পেনশন রিভিশন কমিটির সুপারিশ সহ রিপোর্ট৷ কমিটি গঠনের ৫৫ দিন পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান জি কে রাও৷ ১৫০ পাতার রিপোর্টে সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনার্সদের বেতন ভাতা পুনর্বিন্যাশের সুপারিশ করেছে কমিটি৷
রিপোর্টটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য প্রধান সচিব সুশীল কুমার এবং অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব দেবাশিষ মোদক৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব জি এস জি আয়েঙ্গার এবং দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি অতনু দেওয়ানজি৷ জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী এই রিপোর্টটি মুখ্য সচিবের কাছে পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন৷ এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর রাজ্যের শিক্ষক, কর্মচারী এবং পেনশনার্সদের বেতন ভাতা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহীত হবে৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার যে ফর্মূলায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মাচারীদের বেতন ভাতা কাঠামো স্থির করে, রিভিশন কমিটিও একই ফর্মূলা অবলম্বন করেছে৷ কিন্তু, ফর্মূলা এক হলেও বেতন ভাতা কাঠামো কেন্দ্রীয় হারে হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ এদিন, কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার সাথে সাথে একটাই প্রশ্ণ ঘুরেফিরে উঠছে যে, বাজেটে বরাদ্দ ৬০০ কোটির অতিরিক্ত রিভিশন কমিটি সরকারী কর্মচারী ও পেনশনার্সদের বেতন ভাতা পুনর্বিন্যাসে কি পরিমানের অর্থের প্রয়োজন বলে সুপারিশ করেছে৷ কারণ, রাজ্য সরকার কমিটির কাছে প্রস্তাব রেখেছিল, সরকারী কর্মচারী ও পেনশনার্সদের বেতন ভাতা পুনর্বিন্যাসে কি পরিমান অর্থের প্রয়োজন হবে এবং বাজেটে বরাদ্দ অর্থের অতিরিক্ত দরকার হলে তার যোগান কোথা থেকে সম্ভব, তাও কমিটিকে জানাতে হবে৷
সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর সম্ভব নয় বলে অর্থমন্ত্রী বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে জানিয়েছেন৷ ফলে, এখন কমিটি সুপারিশে কি হারে কর্মচারী এবং পেনশনার্সরা উপকৃত হবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গেছে৷ বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন তাদের দাবি দাওয়ার কমিটির কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করেছে৷ এখন তাদের প্রস্তাব কতটা গৃহীত হয়েছে, তা উৎসুক সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনার্সরা অপেক্ষা করছেন এবিষয়ে রাজ্য সরকারের ঘোষণার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *