নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনিয়ম নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় তীব্র হই হট্টগোল এবং বাদানুবাদ হয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অধ্যক্ষকে সময়ের আগেই প্রশ্ণোত্তর পর্ব শেষ করে দিতে হয়৷ প্রশ্ণোত্তর পর্বে বিধায়ক রতনলাল নাথের উত্থাপিত বিষয়ের উত্তরে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার করে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তিনটি কিস্তিতে এই অর্থ দেওয়া হয়৷ এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে৷ আর বাকি ৯০ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার৷
এরপর অতিরিক্ত প্রশ্ণে রতনলাল নাথ জানান, ঘর প্রাপকদের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির টাকা আসর পরই ১৮,৪৬০ টাকা বিডিও একাউন্টে কেটে নেওয়া হয়৷ টিন দেওয়ার নাম করে এভাবে অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে৷ যা কোনওভাবেই আইন সঙ্গত নয় এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশীকার পরিপন্থী৷
বিভাগীয় মন্ত্রী বলেন, এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক নয়৷ রাজ্য সরকার ঘর প্রাপকদের ভাল টিন দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধী দলের সদস্যরা৷ রতনলাল নাথ ছাড়াও গোপাল রায়, সুদীপ রায় বর্মন এবং বিশ্ববন্ধু সেন এর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন৷ বিরোধী দলের বিধায়করা এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের রুলিং এর দাবীতে ওয়েলে ছুটে এবং শ্লোগান দিতে থাকেন৷ পরে বাধ্য হয়ে উপাধ্যক্ষ প্রশ্ণোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগেই এই পর্বের শেষ বলে ঘোষণা করে দেন৷ এ ধরনের ঘোষণা অসঙ্গত বলে বিরোধী দলের সদস্যরা তীব্র আপত্তি করতে থাকে৷
2017-05-26