নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ নভেম্বর৷৷ ভারতের ঐতিহ্যে আঘাত আনা হচ্ছে৷ ফলে বজায় রাখতে হবে একতা৷ আর, সংসৃকতির বিস্তারের মাধ্যমেই একতা অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী৷ এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই, তাই রাজ্যপাল তথাগত রায়ও কোন মন্তব্য করেননি৷ শনিবার আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় উপজাতি সাংসৃকতিক ঐতিহ্য সম্মেলন৷ ঐ সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ শ্রীচৌধুরী বলেন, সংসৃকতি ছাড়া সভ্যতার বিকাশ ভাবা যায়না৷ উপজাতিরা তাঁদের নিজস্ব সংসৃকতি আকড়ে ধরে রেখেছেন৷ এজন্যই উপজাতিরা যেখানে সবুজায়ন সেখানে৷ তিনি মনে করেন ভারতে সংসৃকতি জীবিত থাকলে এদেশের গরিমা রক্ষা করা সম্ভব৷ কিন্তু, ভারতের ঐতিহ্যে আঘাত আনা হচ্ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তাই, শ্রীচৌধুরী সংসৃকতির বিস্তারের মাধ্যমে একতা বজায় রাখার জন্য বলেন৷
এদিকে, এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীচৌধুরীর চিন্তাধারার দ্বিমত নেই বলেই হয়তো রাজ্যপাল তথাগত রায় আর কোন মন্তব্য করেননি৷ কারণ, তিনি জানিয়ে দেন সংসৃকতির বিষয়ে সমস্ত মুখ্য বিষয়গুলি আলোচনা হয়ে গিয়েছে৷ তবে, উপজাতি কল্যাণের বিষয়ে তিনি যে সজাগ আছেন তা জানাতে ভুলেননি৷ একপ্রকার রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, এরাজ্যের উপজাতি কল্যাণের বিষয়ে সমস্ত খোঁজখবর নেন তিনি৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে সরকারের সেই খোঁজ রাখার কথা থাকলেও তিনি সমস্ত কিছু তাঁর নজরে রাখেন, তাতে রাজ্য সরকার চাপে থাকবে বলে তিনি মনে করেন৷
2016-11-06