নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ হিন্দু বাঙালীদের বারো মাসে তের পার্বণের অন্যতম পার্বণ হলো ভাই ফোঁটা৷

ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকেন৷ আদি অনন্তকাল থেকে এই রীতিনীতিই চলে আসছে৷ আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে বৃহৎ আকারে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়৷
ভাই ফোঁটার রীতিনীতি দীর্ঘকাল ধরেই চলে আসছে৷ ভাইয়ের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় বোন যমের দোয়ারে কাটা দিয়ে ভাইয়ের কপালে মাঙ্গলিক ফোঁটা দিয়ে থাকেন৷ হিন্দু বাঙালী সমাজে এই প্রথা রীতিমতো উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ আত্মকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আর উপার্জনের লক্ষ্যে কে কখন কোথায় থাকে তার কোন নিশ্চয়তা থাকে না৷ ভাই ফোঁটার মতো পবিত্র উৎসবে ভাই ও বোন একত্রিত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকে৷ ফলে দূরত্ব কমে ঘনিষ্ঠতা অনেকটাই বেড়ে যায়৷ ভাই ফোঁটা সত্যিকার অর্থেই ভাই ও বোনের মধ্যে সম্পর্ককে আরো নিবিড় করার অন্যতম প্রয়াস৷ ভাই ফোঁটা উপলক্ষ্যে উপহার বিনিময়ের রীতিনীতিও প্রচলিত রয়েছে৷ এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বাড়িঘরে থাকে বাহারী মুখরোচক খাবারের আয়োজনও৷ বাঙালী সমাজ ব্যবস্থায় ভাই ফোঁটা সত্যিই এক দারুণ আনন্দদায়ক ও হৃদয়াত্মক উৎসব৷এই উৎসবকে সার্বজনীন রূপ দেওয়ার প্রয়াসেও খামতি নেই৷ এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার আনন্দমার্গ সুকলে আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ভাই ফোঁটা অনুষ্ঠানের৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রত্যেকের কপালে মাঙ্গলিক ফোঁটা দেন বোনেরা৷ এই উৎসব যেন এক নতুন ঐতিহ্যের পথ প্রশস্ত করেছে৷ ভাই ফোঁটা অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বোনেরা বলেন, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগ্রত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ৷ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় মা বোনেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ আজকের দিনের অঙ্গীকার হোক আমরা প্রত্যেকেই ভাই বোন৷
ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে কলেজটিলা আনন্দমার্গ সুকলে ভাইদের জন্য আজ খাবারেরও আয়োজন করা হয়৷