নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ শারদোৎসবের প্রাক লগ্ণে ফের শহরে ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্য৷ সন্ধারাতে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে মহিলার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনকাই করল ছিনতাইবাজরা৷ মহিলার বুদ্ধিমত্তার কারণে পথচলতি জনতার হস্তক্ষেপে পূর্ব থানার পুলিশ হাতে নাতেই ছিনতাইবাজদের গ্রেপ্তার করতে সফল হয়েছে৷ ধৃত তিন ছিনতাইবাজকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে৷ ধৃতরা হল প্রসেনজিত মজুমদার, রাজেশ দেব ও রাকেশ দেববর্মা৷ ঘটনাকে ঘিরে শহরের পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ণ দেখা দিয়েছে জনমনে৷
মোটর বাইকে চেপে এসে ফিল্মি কায়দায় এক মহিলার গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনতাই করে পালাল ছিনতাইবাজরা৷ ঘটনা মঙ্গলবার রাতে আগরতলার চিত্তরঞ্জন রোড সংলগ্ণ এলাকায়৷ তবে মহিলার বুদ্ধিমত্তার কারণে পথ চলতি জনতার হস্তক্ষেপে পূর্ব থানার পুলিশ রাতেই তিন ছিনতাইবাজকে জালে তুলেছে৷ প্রসেনজিত মজুমদারের বাড়ি খাস নোয়াগাঁও এলাকায়৷ তাছড়া অন্য দুই ধৃত দুই ছিনতাইবাজ হল খোয়াইয়ের সিঙ্গছড়ার রাজেশ দেব এবং ডি সি পাড়ার রাজেশ দেববর্মা৷ বুধবার পুলিশ ছিনতাইবাজদের টিআর-০১- ওয়াই-৮১০৫ নম্বরের মোটর বাইকটি আটক করেছে৷ উদ্ধার করা হয়েছে ছিতনাই করা সোনার চেইনটিও৷
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ শিবনগর কলেজ রোডের বাসিন্দা শিপ্রা সরকার স্বামীর সাথে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন৷ চিত্তরঞ্জন ক্লাব সংলগ্ণ এলাকায় পৌঁছতেই তিন ছিনতাইবাজ পেছন দিক থেকে এসে শিপ্রাদেবীর গলা থেকে সোনার চেইন টান দিয়ে নিয়ে পালাতে থাকেন৷ দ্রুতগতিতে মোটর বাইক নিয়ে পালাতে থাকলে ঐ মহিলা এক ছিনতাইবাজের শার্টে টান দিতেই বাই নিয়ে পড়ে যায় তারা৷ এরপর বাইক ফেলেই পালাতে থাকে তারা৷
মহিলার চিৎকার শুনে পথচলতি জনতা ছুটে এসে পূর্ব থানায় খবর দেয়৷ পুলিশ গিয়ে বাইকটি উদ্ধার করে৷ বাইকে তল্লাসী চালিয়ে উদ্ধার হয় একটি রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স৷ এর সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্তে নামে৷ রাতেই মোটরস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রসেনজিত মজুমদারকে৷ এরপর পৃথক জায়গা থেকে রাজেশ ও রাকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এদিকে বুধবার সকালে ধৃত তিনজনকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানী আগরতলায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷
2016-09-15