পৃথক স্থানে যুবতী ও শিশু ধর্ষিতা বিচারে ব্যর্থ মাতববররা, ধৃত দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ পৃথক স্থানে দুটি ধর্ষণের ঘটনা৷ বিচারের জন্য নির্যাতিতার পরিবার শালিশী rapelogoসভায় পৌঁছে৷ সেখানে সুবিচার না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে৷ একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, কৈলাসহরের হীরাছড়ায় প্রতিবেশী মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ এবং পরবর্তী সময়ে শালিশী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিয়ে করার পর মেয়েটিকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সম্পর্ক অস্বীকার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ এব্যাপারে কৈলাসহর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশ ধর্ষণকারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে৷
কৈলাসহরের হীরাছড়ায় গ্রামে প্রতিবেশী এক যুবতীকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক যুবক৷ ধর্ষণ শেষে যুবতীটিকে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে৷ যুবতীটির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷ পরদিন গ্রাম প্রধানের উপস্থিতিতে শালিশী সভা হয়৷ শালিশী সভার ধর্ষণকারী কামরুল আলি ও তার পরিবারের লোকজনরা ধর্ষিতা যুবতীকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা মেনে নেন৷ সে অনুযায়ী মুসলীম ধর্মমতে তাদের বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর নববধূকে তার বাপের বাড়িতে পাঠানো হয়৷ কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে না৷ শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই যুবতীটির পরিবারের তরফে ইরানী থানায় মামলা দায়ের করেন৷
ইরানী থানার পুলিশ অভিযুক্ত কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে৷ কামরুলের বাবা লিয়াকত আলি ও অন্যান্যদের খুঁজছে পুলিশ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
এদিকে, মামার ধর্ষণের শিকার চার বছরের ভাগ্ণি৷ পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জিরানীয়া থানার অধীন শ্যাম সুন্দর কলোনী এলাকায়৷ অভিযুক্ত যুবক সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬/২ (এফ) ও পক্সো আইনের ৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে৷
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, শ্যাম সুন্দর কলোনীর বাসিন্দা হতদরিদ্র পরিবার ইটভাট্টায় কাজ করেন৷ স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন৷ চার বছরের শিশুটি পাশেই মাসির বাড়িতে থাকত৷ গতকাল দুপুরে ঐ বাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে এলাকারই পরিচিত মামা তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ এই ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন শালিশী সভায় বিচার করার আশ্বাস দেন৷ পরে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে গ্রামের মাতববররা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে৷ সেই মোতাবেক পুলিশের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিত শিশুর পরিবার৷
বুধবার সকালে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে জিরানীয়া থানায় সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরিবারের লোকজন৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে৷ শিশুটিকে এবং ঐ যুবককে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে জিরানীয়া হাসপাতালে৷ এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *