নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ১৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ চারিদিকে যখন খুশীর ঈদের আনন্দ বইছে অপরদিকে, কলসীমুড়া নিবাসী চদু মিঞার ছেলে এরশাদ মিঞাকে বিকাল ৩৩০ মিনিটে অপহরন করে নিয়ে গেছে৷ এই খবর এলাকায় চাউর হতেই যেন আকাশ থেকে বাজ ভেঙ্গে পড়েছে৷ গোটা পরিবারে বিষাদের ছায়া কসলীমুড়ায় এরশাদ মিঞার অপহরন ঘিরে৷ তাদের আত্মীয় স্বজন দৌড়ঝাপ শুরু করে৷ তার মা কলমচৌড়া থানায় দ্বারস্থ হল৷ কলমচৌড়া থানার পুলিশ দলবল নিয়ে বিস্তারিত ঘটনা জেনে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে-যুদ্ধকালীন তৎপর কলসীমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ণ এলাকায় থেকে আট/দশ জনের একটি যুবকের দল এরশাদ মিঞার হাতে পায়ে বেধে মুখে চাঁপা দিয়ে ইসলাম মিঞার বাগানে নিয়ে যায়৷ তখন বিকাল প্রায় ৪টা৷ সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রচন্ড ভাবে পিটিয়ে সারা শরীরে ক্ষত বিক্ষত চিঙ্গের দাগ ফেলে দেয়৷ অপহরনকারীরা হল – রাসেল মিঞা, রায়জান মিঞা, তুষার মিঞা, ইঞামূল হোসেন এবং মাহিন উদ্দিন৷ কলমচৌড়া থানার পুলিশ অফিসার ডারলং বাবুর নেতৃত্বে ৩ জন অপহরণকারীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে এবং এরশাদ মিঞাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে৷ অল্প কিছুক্ষন পরেই থানা থেকে তিন অপহরণকারীকে ছাড়িয়ে নেন কলসীমুড়ার প্রক্তন প্রধান৷ সঙ্গে সঙ্গে এরশাদ মিঞাকে ও ছেড়ে দেয় থানা থেকে৷ এরশাদ মিঞা বাড়ীতে যেতে না যেতেই সন্ধার পর আবার অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ দ্বিতীয় বারের ঘটনাটি যখন ঘটে এই বার বুঝি প্রানে বাঁচার আশা নেই বলেই এলাকাবাসীর ধারনা৷ সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয় বার কলমচৌড়া থানায় ফোন করে জানানো হয় পুনরায় এরশাদ মিঞাকে অপহরন করে নিয়ে গেছে৷ কোন রকমে প্রানে বেঁচে আসে এরশাদ৷ তখন রাত ৯টা৷ বাড়ীতে আসার পরই এরশাদের অবস্থা বেগতিক দেখে বক্সনগর সামাজিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ এদিকে রাতে পুলিশ কয়েক বার আসামী ধরার জন্য অপহরণকারীদের বাড়ীতে হানা দেয়৷ হাসপাতালের ডাক্তার বাবুরা তাকে জিবিতে রেফার করে দেয়৷ কিন্তু আর্থিক অভাবের জন্য ঐ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলে বলে জানান এরশাদের মা৷ বর্তমানে এরশাদ মিঞা হাসপাতালে শয্যাশায়ী৷ তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ণ৷ এরশাদ জানায়, আজ থেকে ৪/৫ দিন পূর্বে কলসীমুড়া কেম্পের বিএসএফ জোওয়ান জঙ্গলে থেকে বিশাল পরিমান বিট লবন হাতে নাতে ধরে ফেলে৷ কোন রকমে পাঁচারকারী রাসেল, রায়হান, মাহিন, তুষার, ইক্রামূল পালিয়ে প্রাণ বাঁচান৷ ঐ বখাটে, সাকরেদরা এক জোট হয়ে আমাকে সন্দেহ করে সে আমি না কি তাদের মাল ধরিয়ে দিয়েছি৷ এই থেকেই আমার সঙ্গে পূর্ব শুক্রতার রেশ ধরেহ আমাকে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা৷ প্রথমবার পুরো পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টা নতুন জীবন পেয়েছি৷ ২য় বার আমার কৌশল ও বুদ্ধির কারণেই বেঁচে আছি৷ এই ঘটনাকে ঘিরে একটি অপহরণ মামলা থানায় রুজু করা হয়৷
2016-09-15