সমস্যার পাহাড়ে অনিশ্চিয়তায় স্বপ্ণের ব্রডগেজ, মে মাসের শেষের দিকে যাত্রী রেল চলতে পারে আগরতলা থেকে

RAIL TRIPURAনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ অনিশ্চিয়তা যেন কাটছেই না৷ স্বপ্ণের রেল যাত্রার অপেক্ষায় গোটা রাজ্যবাসী, সেই আশায় আবারো জল ঢেলে দিলেন পূর্বোত্তর সীমান্ত রেল আধিকারিকরা৷ ব্রডগেজে যাত্রীরেল পরিষেবা শুরু হতে লেগে যাবে মে মাসের শেষ পর্যন্ত সময়৷ রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন ১৯ থেকে ২৯ মে’র মধ্যে কোন একটা সময়ে রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হতে পারে ব্রডগেজে যাত্রীরেল পরিষেবা৷ তবে, তা একশ শতাংশ নিশ্চিত বলে আধিকারিকরা দাবি করতে পারেননি৷
বৃহস্পতিবার মহাকরণে মুখ্যসচিবের সাথে রেলওয়ে আধিকারিকদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ তাতে উপস্থিত ছিলেন, পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার হরপাল সিং, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার বি এন ভাস্কর ও রাজবীর সিং৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হরপাল সিং জানান, আগামী মাসের ১৯ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে চালু হতে পারে রাজ্যে ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা৷ তবে, এখনই তা নিশ্চিত নয়৷ আশা করা যাচ্ছে, ততদিনে পাঁচ রাজ্যের বিধাসনভা নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যাবে৷ তার সাথে সংসদ অধিবেশনও শেষ হয়ে যাবে৷ ফলে, ঐ সময়ে রেল সূচনার বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়েও৷
আগামী ১৩ মে সমাপ্ত হচ্ছে সংসদ অধিবেশন৷ ফলে, তার আগে রেলমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া মুশকিল তা ইঙ্গিত মিলেছিল রেলওয়ে আধিকারিকদের কাছ থেকে৷ এমনকি রাজ্য সরকারও চাইছে আগরতলা থেকে যাত্রী রেল পরিষেবার সূচনার দিন আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্থরও যাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে স্থাপন করানো যায়৷ সংসদ অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার আগে তা সম্ভব নয়, তা আঁচ করেই রাজ্য সরকার যাত্রী রেল পরিষেবার সূচনা এবং আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের ভিত্তি প্রস্থর প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে স্থাপনের প্রস্তাব রেল মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷
তবে, সম্প্রতি ভারি বর্ষণে রেল লাইনের যা ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়টিও যাত্রী রেল পরিষেবার চালু না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ বলেও মনে করা হচ্ছে৷ আজ মহাকরণে মুখ্যসচিব পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে আধিকারিকদের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতির সমস্ত কিছুর খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে৷ সংবাদে প্রকাশ, সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি দূর করা সম্ভব হয়নি এখনো৷ যাত্রী রেল পরিষেবা চালু করার আগে সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটি দূর করা সম্ভব না হলে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখে পড়বে যাত্রীরা৷ এমনকি মারাত্মক বিপত্তিও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা৷ এছাড়া ভারি বর্ষণের কারণে কয়েকটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ ফলে সেগুলির সারাইয়ের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে৷ সূত্রের খবর, আজ বৈঠকে সমস্ত কিছু বিস্তারিত খবর নেন মুখ্যসচিব৷ এই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে তুলতে কত সময় লাগবে তাও জানতে চান তিনি৷ রেলওয়ে আধিকারিকরা অবশ্য খুব শীঘ্র সমস্ত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *