
নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল৷৷ রাজ্যে নারীদের ইজ্জত কতটা সুরক্ষিত তা আবারও প্রশ্ণের মুখে৷ ধর্ষণ, খুন, শ্লীলতাহানি তা প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে৷ কখনো বহিরাগত দুসৃকতি, আবার কখনো নিজ পরিবারের সদস্য কিংবা পরিচিতদের দ্বারাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ গত চবিবশ ঘন্টায় রাজ্যের তিনটি স্থানে তিনজন নারী ধর্ষিতা হয়েছেন৷ বর্বরতা ও নৃশংতার নগ্ণ তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে৷ আঁতকে উঠার মতো ঘটনা হচ্ছে নিজ বাড়িতেই বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে৷ আবার এও উঠে এসেছে প্রণয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে৷
ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে৷ এবার ঘটনা কাকড়াবড় থানার এলাকার তুলামুড়া পাল পাড়ায়৷ গতকাল বিকাল চারটা নাগাদ এক নাবালিকার মা পাশের বাড়ির অরুণ দেববর্মার বাড়িতে মোবাইল চার্জ দিয়ে অধিবেশনে চলে যায়৷ মেয়েটি ৫টা নাগাদ মোবাইলটি আনতে গেলে পাষন্ড প্রাণেশ্বর দেববর্মা মেয়েটির মুখে কাপড় দিয়ে ধর্ষণ করে৷ মা ফিরে এলে কাঁদতে কাঁদতে জানায়৷ রাতেই এলাকাবাসীকে জানানো হয়৷ সকালে তুলামুড়া আউট পোস্টে একটি মামলা দায়ের করে৷ সকালে মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়৷ দুপুর বারটা নাগাদ প্রাণেশ্বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ সে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র৷ তার বাবার নাম অরুণ দেববর্মা৷ মামলা নাম্বার ৩০/১৬৷ তার বিরুদ্ধে ৩৭৬(২)আই(৫০৬), ও চাইল্ড প্রোটেকশান অ্যাক্ট মামলা নিয়েছে৷ আগামীকাল কোর্টে তোলা হবে৷ সকালে এসপি, এসডিপিও ও কাকড়াবন থানার ওসি যতীন্দ্র দাস ঘটনাস্থলে যান৷ ছেলেটিরও মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে৷
মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের ঘটনায় আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এক ব্যক্তিকে৷ ধৃত ব্যক্তির নাম মানিক কুমার দাস৷ বাড়ি আমতলী থানার অধীন রানীর খামার এলাকায়৷ মেয়েটির অভিযোগ তার মা সংসার জীবন ছেড়ে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছেন৷ কিন্তু মার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রথম প্রথম তার শ্লীলতাহানি করেছিল৷ লজ্জায় ও ঘৃণায় মেয়েটি বাবার সাথে তিন বছর যাবত কথা বন্ধ করে দিয়েছিল৷ দুই মাস আগে এক যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে মেয়েটি নিউ জলপাইগুড়িতে ধরা পড়ে৷ পুলিশ তাকে বাবার হাতে তুলে দেয়৷ সেখান থেকে বাড়িতে এনেই গত দুইদিন যাবত মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল পাষন্ড পিতা৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বাবা মানিক কুমার দাসকে৷ এই ব্যাপারে আমতলী থানায় মামলার নম্বর ৫৭/১৬৷ মামলাটি হয়েছে ইউএস ৩২৫, ৩৫৪ (বি) এবং ৩৭৬ আইপিসি অনুযায়ী৷ বর্তমানে ধৃত মানিক কুমার দাস শ্রীঘরে রয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানীর খামার এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ পাষন্ড বাবার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী উঠেছে৷
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় অন্তঃসত্ত্বা এক যুবতীর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে৷ ঘটনা সিধাইয়ের পূর্ব সিমনা এডিসি ভিলেজে৷ জানা যায়, সিধাই থানাধীন পূর্ব সিমনা এডিসি ভিলেজের ভূবন চৌধুরী পাড়া গ্রামের প্রিতম দেববর্মা প্রায় সাতমাস আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে৷ এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় সে মেয়েকে বিয়ে করবে৷ কিন্তু বর্তমানে ছেলেটি বেঁকে বসে৷ বাধ্য হয়ে মেয়ের মা মামলা করে৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ও আদালত থেকে তাকে জেল হাজতে পাঠায়৷ যদিও ছেলে মেয়ে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে৷