নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দৌরাত্ম্যে অটো চালক ও বাইক চালকদের ত্রাহি ত্রাহি রব৷ কাগজপত্র তল্লাশির নামে অটো ও বাইক চালকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করে চলেছে এসব ট্রাফিক পুলিশ৷ তাতে তীব্র ক্ষোভ ধূুমায়িত হচ্ছে৷ তবে, ট্রাফিকের হয়রানির প্রতিবাদন করতে অটো চালকরা রাজপথে রীতিমতো গুন্ডামি করলেন৷ তাঁদের রক্তচক্ষুর মুখে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন৷ পথ অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের অটো চালকরা শাসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷
সোমবার সকালে গান্ধীগ্রাম শালবাগান রোডের একটি অটো রিক্সা কামান চৌমুহনী এসে ঘুরিয়ে পুনরায় গান্ধীগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ তখনই কামান চৌমুহনীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ অটো রিক্সাটিকে আটক করার চেষ্টা করে৷ অটো চালক অটো না থামিয়ে তুলসীবতী সুকলের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ তখনই তার পিছু ধাওয়া করে ট্রাফিক পুলিশ৷ তুলসীবতী সুকলের সামনে অটো চালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের এক দফা বাকবিতন্ডা হয়৷ অটো চালক ট্রাফিক পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করে কামান চৌমুহনী আইল্যান্ডে অটোটি ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্যই গিয়েছিল৷ সেখান থেকে কোন যাত্রী নেয়নি কিংবা দাঁড়ায়নি৷ কিন্তু ট্রািফক পুলিশ কোন কিছুই মানতে নারাজ৷ এনিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ট্রাফিক পুলিশ অটো চালক সঞ্জয় রায়কে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অন্যান্য অটো চালকরা৷ ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা পথ অবরোধ করেন৷ ব্যস্ততম কামান চৌমুহনী এলাকায় পথ অবরোধের ফলে বহু সংখ্যক যানবাহন অফিস টাইমে আটকে পড়ে তাদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে৷ অটো চালকরা বলেছেন, তাদের জন্য কোন স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা নেই৷ শহর থেকে বহু যাত্রী শালবাগান গান্ধীগ্রাম, নরসিংগড় ইত্যাদি স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন৷ সামান্য কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতেও দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ৷ এনিয়ে শুধু অটো চালকদের মধ্যেই নয়, যাত্রী সাধারণের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ অবিলম্বে বিষয়টির সুরাহা করার জন্য দাবি উঠেছে৷ এদিকে পথ অবরোধের খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি বনুজ বিপ্লব দাস ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ এবিষয়টি আলোচনাক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন৷ এরপইর অটো চালকরা ব্যস্ততম রাস্তা থেকে অবরোধ মুক্ত করেন৷
তবে, আজ ফের আন্দোলনের নামে আটো চালকরা যেভাবে রণচন্ডালি মূর্তি ধারণ করেছেন, তা সভ্য সমাজে কোনভাবেই কাম্য নয় বলে মত বিভিন্ন মহলের৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবিচার হলে নিশ্চই প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু, প্রতিবাদের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হলে আগামী দিনে অটো চালকরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন বলেও সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
2016-04-26