নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ সমাজের অবক্ষয়ের একের পর এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হচ্ছে৷ স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলে বাবাকে বেধরক পিটিয়েছে৷ অভিমানে আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছেন বিশ্বজিৎ সরকার৷ পারিবারিক কলহের জেরে অপমানে, অভিযানে আত্মঘাতী হলেন একব্যক্তি৷ তার নাম বিশ্বজিৎ সরকার৷ বাড়ি মধ্য ভূবনবন৷ পেশায় রিক্সা চালাক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ মধ্য ভূবনবন এলাক থেকে এক রিক্সাচালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তার নাম বিশ্বজিৎ সরকার৷ জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক ঝালো চলছিল৷ এনিয়ে তাদের বাড়িতে শালিসী সভাও হয়৷ শালিশী সভার পর স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে মিলে বিশ্বজিৎ সরকারকে মারধর করে৷ এরপর থেকেই বিশ্বজিৎ নিখোঁজ হন৷ শনিবার বাড়ির পাশের জঙ্গলেই তার ঝুলন্ত মৃতদেহ মিলেছে৷ পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷
খুন না আত্মহত্যা এই নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বিলোনীয়ার কৃষ্ণনগরের আচার্য্য পাড়ায়৷ আজ সকালে এলাকার একটি পুকুরে একটি দেহ দেখা যায় তার ঠিক উপর আমগাছে রয়েছে একটি লাল রং এর গামছা ঝুলানো৷ সাথে সাথে হৈ চৈ পড়ে যায়৷ জলের উপরে যে টুকু দেখা যাচ্ছে এবং গামছা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি পাশ্ববর্তী সুভাষ আচার্য্যের দেহ৷ বয়স প্রায় ৫৫ বছর৷ সাথে সাথে পুলিশে খবর যায়৷ ছুটে যায় ঋষ্যমুখ ফাঁড়ি থানার পুলিশ৷ মৃতদেহের অবস্থা দেখে মৃত ব্যক্তির ভাই এবং এলাকাবাসীরা সন্দেহ হওয়ায় ছুটে যান এস ডি পি ও, বিলোনীয়া থানার ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে৷ ডাকা হয় বিশেষজ্ঞ দল৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায় মৃত সুভাষ এবং তাই স্ত্রী বাড়ীতে একাই থাকত৷ ছেলে রয়েছে দুবাইতে, মেয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে৷ অবশ্য পাশেই ছিল সুভাষ আচার্য্যর ভাইরা৷ ভাইদের বক্তব্য বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল৷ গতকাল এজন্য মেয়ে ও জামাই এসেছে৷ কিন্তু কি জন্য ঝগড়া তা জানেনা৷ গতকাল রাতে ঝগড়া করে বেরিয়ে গেলে ও ভাইরা কিছুই জানে না৷ তাই তাদের সন্দেহ৷ এদিকে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং মেয়ে জানান ব্যাঙ্ক একাউন্টের টাকা এবং পাসবুক নিয়ে সমস্যা৷ সমাধান করতে মেয়ে এসেছে গতকাল৷ কিন্তু রাতে কথা হবার পর সুভাষ আচার্য্য বাড়ী থেকে বেরিয়ে আর বাড়ী ফেরেনা৷ সকালে মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷
2016-04-24