নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ এপ্রিল৷৷ রাজ্যে যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে খুব শীঘ্রই৷ ধলাই জেলা সদর জহরনগর থেকে রেলপথের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হবে৷ নতুন এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ তাতে ভবিষ্যত দিনে রাজ্যের চেহারা গুণগতভাবে দারুণ পরিবর্তন এনে দিতে সহায়ক হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন৷
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সরকার বোধজংনগর শিল্প নগরীতে অ্যাপারেল এন্ড গার্মেন্ট মেকিং সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যে যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের বর্ণনা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপনে নতুন প্রকল্পের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে৷ ধলাই জেলা সদর জহরনগর থেকে রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে রেলওয়ে মন্ত্রকের সহায়তার মাধ্যমে নতুন রেলপথ স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের এই নতুন চিন্তাধারার প্রতি ইতিমধ্যে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে৷ তাতে জহরনগর থেকে রেল সংযোগ করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়া সম্ভব হলে এর আওতাধীন বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলির সাথেও যুক্ত হওয়া সম্ভব হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ আর এই প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যৎ দিনে ত্রিপুরার চেহারা গুণগতভাবে দারুণ পরিবর্তন এনে দিতে সাহায্য করবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷
মূলত, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিগত দিনে সারা দেশের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ত্রিপুরা৷ কিন্তু এই ভৌগোলিক অবস্থান আগামীদিনে ত্রিপুরার চেহারা দারুণভাবে পরিবর্তনে সহায়ক হবে৷ ধারণা করা হচ্ছে, জহরনগর থেকে রেলপথে মিজোরাম হয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র মায়ানমারের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে৷ স্থলপথে ত্রিপুরা থেকে মায়ানমারের দূরত্ব ৯২৪ কিলোমিটার৷ সেক্ষেত্রে রেল সংযোগের মাধ্যমে মায়ানমারের সাথে যুক্ত হওয়া সম্ভব হলে স্বাভাবিকভাবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সাথেও যোগাযোগ সাধন সহজ হয়ে উঠবে৷ তাতে শ্রীমন্তপুর ল্যান্ড কাস্টম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার করিডোর হতে চলেছে বলে যে আশা দেখিয়েছিলেন তা বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে৷
2016-04-09