কল্যাণপুরের শান্তিনগরে বন্য হাতি পিষে মারল মজদুরকে, প্রশাসনের ভূমিকায় উত্তেজনা

Elephant killedনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৪ এপ্রিল৷৷ বন্য হাতির তান্ডবে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির৷ ঘটনাটি ঘটেছে আঠারমুড়া পাহাড়েরর পাদদেশ খোয়াই মহকুমার শান্তিনগর এলাকায়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ পাশাপাশি জনগণ প্রশাসনের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ৷ আঠাড়মুড়া পাহাড় থেকে আসা বন্য হাতি তান্ডবে খোয়াই ও তেলিয়ামুড়া মহকুমার বহু গ্রামের মানুষ দীর্ঘ বছর ধরে আতঙ্কে দিন যাপন করছে৷ গত দশ বার বছরে বহু মানুষের মৃত্যু হয় হাতির আক্রমনে৷ বহু খববাড়ী ও কৃষিজ ফসল নষ্ট হয়৷ তার পরও ঘুম ভাঙ্গছে না রাজ্য বন দপ্তর ও তার মন্ত্রীর৷ প্রতি বারই হাতির আক্রমনে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দপ্তরের উচ্চ পদস্থ বন কর্তাদের মনে পড়ে এই বন্য হাতিদের সংরক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে৷ গত দশ বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে আঠারমুড়া পাহাড়ের একটি অংশে এই বন্য হাতির জন্য সংরক্ষণের প্রকল্প রাজ্য বন দপ্তর চালু করতে যাচ্ছে৷ বন্য হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন তো দূরের কথা বন কর্তারা ঐ বন্য হাতির তান্ডব রোধ করতে কখনো কোন সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন নি৷ যার ফলে কিছু দিন অন্তর অন্তর আঠারমুড়া পাহাড় থেকে ঐ বন্য হাতিরা লোকালয়ে প্রবেশ করে সাধারন মানুষের জীবন ও সম্পত্তি সব কিছুই নষ্ট করে দিচ্ছে৷ বন বিভাগ ও খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদাসীনতায় আজ আবার প্রাণ গেল এক দিন মজুরের৷ খোয়াই মহকুমার শান্তিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিহীন কলোনীতে গতকাল সন্ধ্যায় প্রাণ হারায় দিন মজুর রবি তাঁতী৷ রবিবার দিন মজুরের কাজ করে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে রবি তাঁতী৷ বাড়ীতে এসে তিনি দেখেন গরু বাছুরগুলি ঘরে ফিরেনি৷ সন্ধ্যায় তিনি বাড়ীর পাশের রাস্তা ধরে গরু বাছুর খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ বন্য হাতীর পালের মুখোমুখি হয়ে যান৷ বন্য হাতির দল মুহূর্তেই রবি তাঁতীকে ধরে পিষে মেরে ফেলে চলে যায়৷ সারা রাত ধরে রবি তাঁতী ঘরে ফিরে না আসলে শেষবার ভোরে রবি তাঁতী স্ত্রীও সন্তানরা ওনাকে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ীর কাছের জঙ্গলে ওনাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন৷ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে গ্রামের শত শত মানুষ৷ আসে কল্যানপুর থানার পুলিশ ও খোয়াই মহকুমা প্রশাসনের একজন  ডি সি এিম৷ পুলিশ মৃতদেহ তুলে নিয়ে যেতে চাইলে তীব্র প্রতিবাদে ফেঁটে পড়েন গ্রামের মানুষ৷ গ্রামের মানুষ বলছেন দীর্ঘ বছর ধরে হাতির যন্ত্রনায় মানুষ স্বস্তিতে বসবাস করতে পারছে না অথচ স্থানীয় বন দপ্তর ও প্রশাসন মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে আছেন৷ দীর্ঘ সময় মৃতদেহ পুলিশকে নিয়ে যেতে বাধা দিয়ে রাখে স্থানীয় মানুষ৷ পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান খোয়াই মহকুমা ম্যাজিস্টেট৷ তিনি উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে আনে পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *