নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ ডাস্টবিনন সর্বত্র থাকলে আবর্জনার স্তূপ কিন্তু ডাস্টবিনের আনাচে কানাচে৷ শহরের অভ্যন্তরে ব্যস্ততম এলাকায় স্তূপাকৃতি কেবলই পাহাড়ের রূপ নিচ্ছে৷ যেমন খোয়াই পুর পরিষদ এলাকা৷ বিশেষ বিসেষ এলাকাগুলিতে রাস্তার মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তূপ মানুষের যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে৷ যত্রতত্র এসব ময়লা আবর্জনা জমা হয়ে থাকে৷ যে কারণে পুর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এলাকায় পঁচা দুর্গন্ধ ছড়ায়৷ শুধু পুর সভার আবর্জনা নয়, প্রায় প্রত্যেকটি বিদ্যালয়গুলোও অপরিষ্কার৷ জনগণ বলছেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান নামে একটি প্রকল্প চলছে৷ কিন্তু স মাজকে প্রকৃতপক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলতে সঠিক সচেতনতামূলক প্রচার বা উদ্যোগ দেখা যায়না৷ অথচ মাননীয় রাজ্যপাল যখন খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঝাড়ু হাতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে রাস্তা পরিষ্কারে হাত লাগালেন, তখন কিন্তু রাজ্যপালের সাথে ছবিতে এক ফ্রেমে আসতে অনেকেই উদ্যোগী হতে দেখা যায়৷ ঝাড়ু হাতে উপচে পড়া ভিড় দেখে রাজ্যপালও সন্তুষ্ট হয়ে ফিরেন৷ আবার যখন দ্বিতীয়বার একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে রাজ্যপাল খোয়াই এলেন, তখনও খোয়াই সহ ত্রিপুরার রাজ্যের রাজধানীর স্বচ্ছভাব দেখে মুগ্দ হয়ে যান৷ খোয়াইয়ের অফিসটিলা থেকে সুভাষপার্ক হয়ে নৃপেন চক্রবর্তী এভিন্যু পর্যন্ত একদম ঝকঝকে করে তোলার ফলে এই বাঃ বাঃ কুড়িয়ে নেওয়ার পেছনে আবর্জনার স্তূপ বা দূর্গন্ধ কিন্তু কেউ টের পাননি৷ রাজ্যপালও নন৷ খোয়াই শহরের বিভিন্ন পথঘাট, সুকল চত্বর কিংবা অভ্যন্তরে তথৈবচ অবস্থা৷ অপরিচ্ছন্ন খোয়াইয়ের পেছনে পুর সভার দূরদর্শিতার অভাব আছে বলেই মনে করছেন জনসাধারণ৷ শুধুমাত্র পুর পরিষদকেই দায়ি করলে চলবে না৷ এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য দায়ী জনগণের অসচেতনতাও৷ যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা, এই সে আবর্জনা দিনের পর দিন পচে গলে দূর্গন্ধ ছড়ালেও কোনো উদ্যোগ নেই জনগণেরও৷ নোংরা আবর্জনাময় পরিবেশ গড়ে তুলছেন অসচেতন জনগণই৷ দায় এড়াতে পারবেনা পুর পরিষদও৷
প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৬০ বছর আগে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন দুই পর্বতারোহী৷ এরপর এখন পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন৷ এছাড়া ৮,৮৪৮ মিটারের এই পর্বতে প্রতি বছর আরোহণ করেন হাজারো মানুষ৷ তবে এদেরপ্রত্যেকেই যে পর্বত আরোহণের জন্য প্রশিক্ষিত, তা নয়৷ অনেকের দুঃসাহসিক অভিযান বা রোমাঞ্চের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি৷ ফলে প্রশিক্ষণ না থাকায় তারা এভারেস্টের পরিবেশ দূষিত করেছেন, রেখে আসছেন নানা শরীরও, যা পরিবেশ দূষণের ঝঁুকিও বাড়াচ্ছে৷ গত ছয় দশকে অন্তত ৫০ টন আবর্জনা জমেছে সেখানে৷ এজন্য এভারেস্টকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ডাস্টবিন৷
2016-02-27