পরকীয়া প্রণয়ের জেরে অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূ, পুড়ে ছাড়খার বসত বাড়ি

FIRE VICTIMনিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি৷৷ পারিবরিক কলহের কারনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা এক গৃহবধুর৷ বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আগরতলার জিবি হাসপাতালে৷ তার গায়ের আগুনে তাদের বসত ঘরসহ ঘরের যাবতীয় আসবার পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন করইলং ১নং ওয়ার্ডে (টি এম সি)৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন এস ডি পি ও -লাখী চৌহান, ডি সি এম আশিষ বিশ্বাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷
ঘটনার বিবরনে জানা যায় বিগত কয়েক বছর আগে করইলং এলাকার সজল দাসের সাথে ডি এম কলোনী এলাকার (একই থানাধীন) মনিন্দ্র রায়ের মেয়ের সামাজিক বিয়ে হয়৷ প্রসঙ্গত ঐ সজল দাসের এটি হলো দ্বিতীয় বিয়ে৷ তার আগের সংসারের একটি ১২ বছরের মেয়েও রয়েছে তাদের বর্তমান সংসার৷ প্রতিদিনই স্বামী -স্ত্রী মধ্যে চলত ঝগড়া যথারীতি আজ সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়৷ প্রতিদিনের মত স্বামী সজল দাস কাটমিস্ত্রির কাজ করতে চলে যায়৷ এরই ফাকে তিন মাসের অন্তসত্বা গৃহবধুটি ঘরে মজুত থাকা কেরোসিন তার গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ আগুন ছরিয়ে তাদের বসত ঘরে ও ধরে যায়৷ পুরে যায় ঘরে থাকা সব কিছুই৷ শরীরে আগুন লাগতে গৃহবধুটি নিজেকে শেষ বারের মত বাচাঁতে পাশে আবচ্ছানরত পুকুরে ঝাপ দেয়৷ খবর পেয়ে ছুটে আসে তার স্বামী খবর দেওয়া হয় অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরে৷ দমকল বাহিনী ঘটনা স্থলে গিয়ে গৃহবধুকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া গ্রামীন হাসপাতালে৷ সেখান ডি সি এম আশিষ বিশ্বাসের সামনে তার সাংসারিক ঝামেলার জবানবন্দি দেয়৷
অপরদিকে মহিলার স্বামী জানায় দীর্ঘ দিন ধরেই সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল, তবে মহিলার অগ্ণিরূপ বারবারই সমাজের সামনে আসতে শুরু করে প্রতিনিয়ত৷ এর আগেও ত্রিশাবাড়িতে বাড়ী বানিয়ে মহিলাকে নিয়ে থাকত সজল৷ তবে সর্বন্ত ছিলা না, শেষ পর্যন্ত অন্য এক পুরুষেদর সাথে সম্পর্কে জেরে তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলাও দেয় জোত্যি দেবী৷ এরপর থেকেই আবার করইলং এলাকায় বসবাস করতে থাকে৷তবে সজলের আগের সংসারের মেয়েটি জানায়, তার বাবার কোন দোষ ছিল না, তার মা-ই বিভিন্ন ভাবে সংসারে ঝামেলা করত৷ আজ সকালেও তাই হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *