দুর্নীতির প্রতিবাদ করে সিপিএমের সঙ্গ ছাড়লেন দেড় ডজন নেতা-কর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৭ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্যে চলছে এক নায়কতন্ত্রী শাসন৷ বর্তমানে রাজ্যে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী দলীয় কাজকর্ম করছেন৷ এক টানা ২০ বছর ধরে রাজ্যে সিপিএম দলের শাসান চলছে৷ শহর থেকে গ্রাম এমনকি পাহাড়ে কংগ্রেস কর্মীরা কংগ্রেস দল ত্যাগ করে সিপিএম দলে যোগ দেবার খবর পাওয়া যায়৷ ৫৩নং Untitled-1 copyকৈলাসহরে ব্যতিক্রম শাসক দল পরিচালিত পশ্চিম ইয়াজে খালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ এবং ২ নং ওয়ার্ডের ২৯ জন সিপিএম কর্মী দল ত্যাগ করে কংগ্রেস দলে যোগ দেন৷  শাসক দল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের ২৯ জন দলীয় কর্মী এক সাথে দলত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে জানা যায় পঞ্চায়েতের দায়িত্ববানরা সব সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন৷ নীচুতলার কোন কর্মীদের তেমন সহযোগিতা করা হচ্ছে না৷ এমজিএন রেগা, ইন্দিরা আবাসের ঘর সহ এমএসডিপি প্রকল্পের চলছে দুর্নীতি৷ যারা অর্থশীল তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছে না গরীব অসহায় জনসাধারণ৷ যার ফলে ঐ ২৯ জন দল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দান করেন৷ ইয়াজখাতরা ২ নং ওয়ার্ডে আজ প্রকাশ্য সভায় একথা বলে দলত্যাগী কৃষক সভার ঐ এলাকার এক সময়ের নেতা আব্দুল মান্নান৷ সলোয়ার হুসেন সহ ২৯ জনের হতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে কংগ্রেস দলে বরণ করে নেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জমান৷ ঐ সভায় বদরুজ্জমান বক্তব্যে বলেন, গৌরনগর ব্লকের ছোট এই পঞ্চায়েতের প্রায় ১৭ টা প্রজেক্ট এর টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ৭টা রিংওয়েল সংস্কারের নাম টাকা নয়ছয় করা হয়েছে৷ সে বিষয়টি  ব্লক আধিকারিকের নজরে নেওয়া হয়েছে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে৷ দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস দল জোরদার আন্দোলন করবে বলে আজকের এই প্রকাশ্য সভায় বলেন কংগ্রেস নেতা৷ আজকের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব নেতা নির্মলমালাকার রনু মিয়া, প্রদেশ কংগ্রেস দুই সদস্য রুদ্রেন্দ ভট্টাচার্য, বিকাশ শর্মা প্রমুখ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *