পাঠানকোট, ২ জানুয়ারি (হি.স.): বছরের শুরুতেই জঙ্গি হামলা| আর তার জেরে আতঙ্ক ছড়াল পঞ্জাবের পাঠানকোটে| শনিবার গভীর রাতে পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ছয় জঙ্গি| নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রায় ছয় ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গির মৃতু্য হয়েছে| নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর তিন জওয়ানও| এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন জওয়ান| আরও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে| লুকিয়ে থাকা জঙ্গির খেঁাজে আকাশে চক্কর মারে হেলিকপ্টার| ব্যবহার করা হয় ড্রোনও| ঘটনাস্থলে পেঁ ছয় এনআইএ দল|
এ দিন রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে ৬ জঙ্গি| এরা প্রত্যেকেই সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল বলে জানা গিয়েছে| ঘাঁটির যে অংশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সে দিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা| খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের জওয়ানরা| বায়ুসেনা ঘাঁটির মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা বলে ধারনা করা হচ্ছে| তবে সেনা তত্পরতায় তাদের সেই উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়| মাত্র এক দিন আগে পুলিশের গাড়ি হাইজ্যাকের সঙ্গে এই জঙ্গি হামলার যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে| কোনও জঙ্গি সংগঠনই হামলার দায় স্বীকার করেনি| তবে পাক মদতপুষ্ট জৈশ ই মহম্মদই এই হামলা চালিযেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে|
এদিকে, বাকি দুই জঙ্গির খোঁজে তল্লাশির মাঝে ফের বিস্ফোরণ হয়| জঙ্গিদের খোঁজে চপার থেকে গুলি চালাতেও শোনা যায় বায়ুসেনার জওয়ানদের| শান্ত হয়নি পাঠানকোটের পরিস্থিতি| বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে সেনাঘাঁটি সংলগ্ন আকালগড় গ্রামেও| চার জঙ্গি নিকেশের পর পঞ্চম জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন সেনা জওয়ানরা| সেই সময়ই বায়ুসেনা ঘাঁটির ভিতর থেকে পর পর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়| এরপরই জঙ্গিরা যেখানে লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান, সেখানে চপার থেকে গুলি চালাতে থাকেন বায়ুসেনার জওয়ানরা| পাশাপাশি, সেনাঘাঁটির কাছে অবস্থিত আকালগড় গ্রামেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে| গোটা এলাকাজুড়ে চালানো হচ্ছে চিরুনি তল্লাশি|
2016-01-03